Manik Bhattacharya: দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে ‘বিপাকে’ মানিক, কী বলছে পলাশীপাড়ার বাসিন্দারা?
Manik Bhattacharya: মন খারাপ পলাশীপাড়ার বাসিন্দাদের। তাঁরা ভাবতেই পারেনি দুর্নীতিতে নাম জড়াবে তাঁদের বিধায়কের।
কলকাতা: টেট দুর্নীতি কাণ্ডে (TET Corrouption Case) ক্রমেই চাপ বেড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। বুধবার রাত ৮টার মধ্যে তাঁকে সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি আসেননি। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুক্রবার পর্যন্ত রক্ষাকবচ পেয়েছেন নদিয়ার পলাশীপাড়া বিধানসভার বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে ওই দিন পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
এত সব কিছু মধ্যে মন খারাপ পলাশীপাড়ার বাসিন্দাদের। তাঁরা ভাবতেই পারেনি দুর্নীতিতে নাম জড়াবে তাঁদের বিধায়কের। মানিক ভট্টাচার্য পর্ষদ সভাপতি ছিলেন, আর সে কারণেই পলাশীপাড়া বিধানসভার মানুষ আশা করেছিলেন তিনি নির্বাচিত হলে এলাকার বহু মানুষের কর্মস্থান হবে। নতুন করে কাজের দিশা দেখতে পাবেন এলাকার যুবক-যুবতীরা। এমনকী যেহেতু তিনি সরকারি আমলা সে কারণে তিনি এলাকার বিধায়ক হলে এলাকার উন্নতিরও আশা করেছিলেন সাধারণ বাসিন্দারা। উন্নয়নের জোয়ার বইবে পলাশীপাড়া বিধানসভায়। কিন্তু, একের পর এক দুর্নীতিতে তাঁদের বিধায়কের নাম জড়াবে বলে আদৌও ভাবতে পারেননি এলাকার বাসিন্দারা। সে কারণেই তাঁদের মনে এখন বিষাদের ছায়া। এমনকী মানিকের গ্রেফতারির সম্ভাবনা জোরালো হতেই চাপানউতর শুরু হয়েছে এলাকার নাগরিক মহলে। মানিকের কঠোর সাজারও দাবি তুলেছেন এলাকার বিরোধী শিবিরের কর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা বিজেপি কর্মী অনন্ত মণ্ডল বলেন, “আমরা চাই সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই যেন মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হন। আমাদের বিধায়ক গ্রামের হাজার হাজার ছেলের জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন। আজ গরীব মেধাবী ছেলেরা চাকরি পাচ্ছেন না। ৮ পাশ, মাধ্যমিক ফেল করা ছেলেরা লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি পাচ্ছেন। আমি চাই এরকম ব্যক্তির সাজা হোক।” সিপিএমের পলাশীপাড়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক সলীল কর বলেন, “এটা তৃণমূলের কালচার। ওরা সকলেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। ২০১১ সালের পর থেকে ছাত্র-যুবদের যে স্বপ্ন ছিল সেটা ওর ধুলিসাৎ করে দিয়েছে। মানিক ভট্টাচার্য যে দুর্নীতিগ্রস্ত লোক সেটা সকলেই জেনে গিয়েছেন।”
স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রণদেব প্রসাদ বসু বলেন, “আইনি প্রক্রিয়া চলছে। আমি সাধারণ পঞ্চায়েত সদস্য। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু মন্তব্য করতে পারব না। আজকে আমাদের দলকে পর্যদুস্ত করতে ইডি,সিবিআইকে মাঠে নামানো হয়েছে। তবে আমাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপর ভরসা আছে। সাধারণ মানুষেরও আছে।”