কৃষ্ণনগর: তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে লড়ছেন ‘রানি মা’ তথা অমৃতা রায়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্যা অমৃতা প্রচার শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই। একদিকে যখন মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে বিতর্ক চরমে, শুরু হয়েছে সিবিআই তদন্ত, তখন কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সদস্যার ওপর আস্থা রেখেছে বিজেপি। মঙ্গলবারই তাঁকে ফোন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর নেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রকাশ্যে এসেছে সেই কথোপকথনের অডিয়ো।
তৃণমূলের ওপর যে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সে কথা মোদীকে জানিয়েছেন অমৃতা রায়। এরপরই ‘রানি মা’ বলেন, “আমি মানুষকে জিজ্ঞেস করি, মহুয়া মৈত্রের কী হবে? লোকে বলে, ওকে তো জেলেই যেতে হবে।” এ কথা শুনে হেসে ফেলেন মোদী। হাসতে হাসতে বলেন, “আচ্ছা, লোকে বলে এ কথা?”
উল্লেখ্য, টাকা ও উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার ভিত্তিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যে, তাঁর কলকাতার বাড়ি, করিমপুরের বাড়ি ও দলীয় কার্যালয়েও তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
মোদী এদিন আশ্বস্ত করেন, দুর্নীতিতে লুঠ হওয়া ৩০০০ কোটি টাকা, যা বাংলা থেকে উদ্ধার করেছে ইডি, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “ওগুলো গরিব মানুষের টাকা। নতুন সরকার গঠন হলেই ওই টাকা ফিরিয়ে দেব। মানুষকে বলবেন, কোনও না কোনও কোনও রাস্তা ঠিক বের করব আমি।”
কথোপকথনে অভিযোগও তুলে ধরেন কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের ‘রাজমাতা’। তিনি জানান, অনেকেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বলছেন, ব্রিটিশদের সঙ্গ দিয়েছিলেন রাজা। দেশদ্রোহীও বলা হচ্ছে রাজ পরিবারকে। রানি মা-র কথায়, “রাজা যদি সেদিন সিরাজদ্দৌলার বিরোধিতা না করতেন, তাহলে তো সনাতন ধর্ম শেষ হয়ে যেত। আজ আমরা হিন্দু হয়ে থাকতে পারতাম না। আজ আমাদের ভাষা বদলে যেত, পোশাক বদলে যেত।”
এ কথা শুনে মোদী বলেন, “ছোটবেলায় কৃষ্ণচন্দ্রের সমাজ সংস্কারের কথা আমরা পড়েছি। এখন যারা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে, তারা নানাভাবে বদনাম করার চেষ্টা করছে। ২০০-৩০০ বছরের পুরনো কথা খুঁজে বের করছে। এসব নিয়ে ভাববেন না।”
মোদী অমৃতা রায়কে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, “আমাদের লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আর
ওরা দুর্নীতিবাজদের বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে। দেশ ওদের কাছে আগে নয়। ক্ষমতাই ওদের জন্য শেষ কথা। দুর্নীতি-মুক্ত ভারত গড়তেই হবে।”
কৃষ্ণনগর: তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে লড়ছেন ‘রানি মা’ তথা অমৃতা রায়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্যা অমৃতা প্রচার শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই। একদিকে যখন মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে বিতর্ক চরমে, শুরু হয়েছে সিবিআই তদন্ত, তখন কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সদস্যার ওপর আস্থা রেখেছে বিজেপি। মঙ্গলবারই তাঁকে ফোন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর নেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রকাশ্যে এসেছে সেই কথোপকথনের অডিয়ো।
তৃণমূলের ওপর যে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সে কথা মোদীকে জানিয়েছেন অমৃতা রায়। এরপরই ‘রানি মা’ বলেন, “আমি মানুষকে জিজ্ঞেস করি, মহুয়া মৈত্রের কী হবে? লোকে বলে, ওকে তো জেলেই যেতে হবে।” এ কথা শুনে হেসে ফেলেন মোদী। হাসতে হাসতে বলেন, “আচ্ছা, লোকে বলে এ কথা?”
উল্লেখ্য, টাকা ও উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার ভিত্তিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যে, তাঁর কলকাতার বাড়ি, করিমপুরের বাড়ি ও দলীয় কার্যালয়েও তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
মোদী এদিন আশ্বস্ত করেন, দুর্নীতিতে লুঠ হওয়া ৩০০০ কোটি টাকা, যা বাংলা থেকে উদ্ধার করেছে ইডি, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “ওগুলো গরিব মানুষের টাকা। নতুন সরকার গঠন হলেই ওই টাকা ফিরিয়ে দেব। মানুষকে বলবেন, কোনও না কোনও কোনও রাস্তা ঠিক বের করব আমি।”
কথোপকথনে অভিযোগও তুলে ধরেন কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের ‘রাজমাতা’। তিনি জানান, অনেকেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বলছেন, ব্রিটিশদের সঙ্গ দিয়েছিলেন রাজা। দেশদ্রোহীও বলা হচ্ছে রাজ পরিবারকে। রানি মা-র কথায়, “রাজা যদি সেদিন সিরাজদ্দৌলার বিরোধিতা না করতেন, তাহলে তো সনাতন ধর্ম শেষ হয়ে যেত। আজ আমরা হিন্দু হয়ে থাকতে পারতাম না। আজ আমাদের ভাষা বদলে যেত, পোশাক বদলে যেত।”
এ কথা শুনে মোদী বলেন, “ছোটবেলায় কৃষ্ণচন্দ্রের সমাজ সংস্কারের কথা আমরা পড়েছি। এখন যারা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে, তারা নানাভাবে বদনাম করার চেষ্টা করছে। ২০০-৩০০ বছরের পুরনো কথা খুঁজে বের করছে। এসব নিয়ে ভাববেন না।”
মোদী অমৃতা রায়কে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, “আমাদের লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আর
ওরা দুর্নীতিবাজদের বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে। দেশ ওদের কাছে আগে নয়। ক্ষমতাই ওদের জন্য শেষ কথা। দুর্নীতি-মুক্ত ভারত গড়তেই হবে।”