নদিয়া: ফের যেন রবিনসনকাণ্ডের ছায়া কল্যাণীতে। মৃত মায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে থাকলেন তাঁর সন্তান। মা মারার যাওয়ার পর তার শেষকৃত্য না করেই মরদেহর সঙ্গে বসবাস করছিলেন ছেলে। এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরই পুলিশ আটক করেছে ওই ব্যক্তিকে।
মৃতার নাম মায়া পাল (৭০)। তাঁর ছেলে সঞ্জয় পাল। খবর পেয়ে কল্যাণী থানার পুলিশ দেহের অংশবিশেষ উদ্ধার করে ছেলেকে আটক করেছে । ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার এ ৯/২৯৩ নম্বর বাড়িতে। সূত্রের খবর, পারিবারিক অশান্তির কারণে এই বাড়িতেই এক বছর আগে মাকে নিয়ে আসেন সঞ্জয়। ভাড়া থাকতেন তিনি এখানে। বাবা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। তাই বাবার মৃত্যুর পর মা বর্তমানে পেনশন পেতেন। গত মাস খানেক আগে বাড়ির মালিক পচা গন্ধ পেয়ে তার কাছ থেকে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন।
কিন্তু সঞ্জয়বাবু আসল কারণ চেপে গিয়ে জানান তাঁর মা শারীরিক ভাবে অসুস্থ। কিন্তু পরের দিন থেকে আর সেই গন্ধটা পাওয়া যায় না। শনিবার হঠাৎই বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীরা এই ঘটনা সূত্র মারফত জানতে পারে এবং পুলিশকে খবর দেয়। কল্যাণী থানার পুলিশ গিয়ে পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার করে। তাদের অনুমান নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ওই বৃদ্ধা মায়া দেবী মারা যেতে পারেন। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত মায়ের মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন ছেলে সঞ্জয়। কী কারণে আটকে রেখেছিলো মৃতদেহ তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কল্যাণী থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসা বাদের জন্য সঞ্জয়কে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে, জেলায় পাড়ার মধ্যে চলছে জোরে মাইক। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করায় দুষ্কৃতীদের এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হলেন এক ব্যক্তি।
ঘটনাটি শান্তিপুর থানার টেংরি ডাঙা এলাকার। ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাস করেন সমিরউদ্দিন মণ্ডল। অভিযোগ, গতকাল রাত থেকেই তার বাড়ির সামনে বেশ কয়েকজন যুবক তারস্বরে মাইক বাজাচ্ছিল। যার জেরে টেকা দায় হয় পড়েছিল বাড়িতে। এবার সমিরউদ্দিন সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে তার উপরে চড়াও হয় যুবকের দল। এরপর তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে তাঁরা। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সমিরউদ্দিন। তাঁর চিৎকারে এলাকায় ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। তখনই ওই যুবকের দল ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।