নদিয়া: ফের একবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার নদিয়ার ধানতলায় একটি সভা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সভামঞ্চ থেকেই শুভেন্দু বললেন, “ভরসা রাখুন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপর। আর একটা লোকসভা ভোট পেরোবে না, তার আগেই আপনারা সিএএ কার্যকর দেখতে পাবেন। গুজরাটে কার্যকর শুরু হয়ে গিয়েছে, এখানেও হবে।” এর পাশাপাশি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের উন্নয়ন ও তাঁদের দাবি পূরণের জন্য যে বিজেপি সর্বদা সচেষ্ট, সেই কথাও এদিন বুঝিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী।
মতুয়া ভাবাবেগে শান দিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরে অমিত শাহর সভায় থাকার। তিনি বলেছিলেন, করোনার টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আমরা সিএএ কার্যকর করব। ২০২২ সালের ৫ মে শিলিগুড়িতেও তিনি সেই কথার পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, আইন তো হয়ে গিয়েছে। কার্যকর শুধু সময়ের অপেক্ষা।” আগামিকাল কল্পতরু উৎসবের আগে শুভেন্দুর প্রার্থনা, ২০২৩ সালে যেন সিএএ কার্যকর হয়ে যায়।
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “সিএএ কার্যকর শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই কথা আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে বলে যেতে চাই।” সিএএ নিয়ে তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীদের একাংশের মুখে ‘ক্যা-ক্যা-ছি-ছি’ খোঁচার কথাও এদিন উঠে আসে বিরোধী দলনেতার গলায়। শুভেন্দুর প্রশ্ন, “চাকরি পেলে ভিআরএসের জন্য গেলে কেন দলিল খোঁজা হয়? কেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে জানতে চাওয়া হয় একাত্তরের আগের দলিল আছে কি না?”
প্রসঙ্গত, সিএএ নিয়ে এর আগেও একাধিকবার শুভেন্দু অধিকারী সরব হয়েছিলেন। যখন গুজরাটে নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে, তখনও সেই প্রসঙ্গ টেনে বাংলাতেও সিএএ হবে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। যদিও গুজরাটে নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘটনাটি সিএএ, ২০১৯ অনুযায়ী হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।