নদিয়া: ইডির ডাক পেয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু ভোটের বাজারে সে ডাকে সাড়া দিতে ‘অপারগ’ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী। বদলে বৃহস্পতিবার নদিয়ার নয়াচরে প্রচারে ঝড় তুললেন তিনি। রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে ঢুকে নিজেই হাত লাগালেন কাজে। চা ঢেলে চুমুক, গল্প চলল সেখানেই।
ইডির প্রসঙ্গ উঠতেই মহুয়া মৈত্র পাল্টা চাপ দিলেন। বললেন, “দিল্লি হাইকোর্টে দু’সপ্তাহ আগে কেস করেছিলাম। বলেছিলাম ইডি মিডিয়াকে তথ্য লিক করছে। ইডি হলফনামা দিয়ে তখন বলেছিল, ওরা কাউকে কিছু বলছে না। আচ্ছা আমি তো সমন নিয়ে কাউকে কিছু বলিনি। মিডিয়া কী করে জানল? আপনাদের কে এই খবর দিল?”
মহুয়ার কথায়, ইডি এতটাই আকৃষ্ট তাঁর প্রতি, বারবার তাঁর কাছে আসে। মহুয়া বলেন, “সবে তো শুরু। সিবিআই সেদিন খালি হাতে ঘুরে গিয়েছে। এরপর ইডি আসবে। আমি তো বলব কৃষ্ণনগরে আসুন, সরপুরিয়া খান, ভোটটা আমার আরও বাড়ুক।”
মহুয়া মৈত্রকে বিজেপি টার্গেট করেছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “পরিকল্পিতভাবে ইডি, সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিজেপি চাইছে ভোটের আগে এজেন্সি ব্যবহার করে তাঁদের ব্যাতিব্যস্ত করতে। বিজেপি হেরে যাওয়ার ভয়ে প্রার্থী, নেতাদের ব্যস্ত করে রাখতে চাইছে। মামলাগুলো কাগজ কলমে আলাদা। তলবের পদ্ধতিটা এক। দল আমাদের প্রার্থী, কর্মীদের বলে দিয়েছে তাঁরা যাবেন না। এটা লিগ্যাল ব্যাটল। দল কর্মীদের পাশে আছে। মহুয়া নিজে যথেষ্ট যোগ্য। কৃষ্ণনগরে যত চক্রান্ত হোক সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হতে চলেছেন তিনিই।”
মহুয়াকে তলব নিয়ে বিজেপির তাপস রায়ের বক্তব্য, একটা অভিযোগ আছে। তদন্তকারী সংস্থা কী করবে সেটা তাদের বিষয়। অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী পাশেই দাঁড়িয়েছেন মহুয়ার। বলেছেন, “মহুয়ার বিষয়টা পরিকল্পিত, ষড়যন্ত্র। আজকে নয় শুধু, সংসদে যেদিন হয়েছে, সেদিনও একই কথা বলেছি।”