রানাঘাট: হাইকোর্ট বল ঠেলেছিল জেলাশাসকের দিকে। কিন্তু, দমকল-বিদ্যুৎ দফতর সহ অন্যান্য একাধিক প্রশাসনিক মহলের নিষেধাজ্ঞার কথা তুলে ধরে অনুমতি দেননি জেলাশাসক। চাপানউতোর চলছিলই। শেষ পর্যন্ত হচ্ছে না রানাঘাটের ১১২ ফুটের দুর্গার পুজো। পুজো উদ্যোক্তারা বলছেন আর টাকা দিয়ে মামলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা তাঁদের নেই। পুজো করতে গিয়ে কার্যত গোটা গ্রাম নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। সে কারণেই তাঁরা আর পুজো করতে চান না। স্পষ্টতই বলছেন, পুজো করতে গিয়ে যে শিক্ষা তাঁদের হয়েছে তাতে আর তাঁরা এ পথ মাড়াতে চান না। এমতাবস্থায়, আক্ষেপের সুর এলাকার তৃণমূল নেতাদের গলাতেও।
অভিযান সংঘের সভাপতি তথা কামারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনবারের সদস্য শিবাস বিশ্বাস কার্যত হতাশার সুরেই বলছেন, “খুবই খারাপ লাগছে। মুখ্যমন্ত্রী মানে আমার দিদি তো বলেছিল পুজো হলে অনেক গরিব মানুষের উপকার হবে। কিছু উপার্জন করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারবে। কিন্তু সেই জায়গাতে তো ক্ষতি হয়ে গেল। হাজার হাজার লোকের দোকান বসতো। কিন্তু আর হবে না। গ্রামের লোকজনও রোজগারের পথ খুঁজছিল। কিন্তু সব শেষ। আমি নিজে একজন জনপ্রতিনিধি। কিন্তু এখন পাবলিকের মার খাওয়ার ভয় হচ্ছে! তাহলে কী আমার দিদি আমাকে মার খাওয়ালো?”
এখানেই না থেমে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, “এখানের প্রাক্তন বিধায়ক সমীর পোদ্দারও অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু উনি আলোচনা করার পরেই ওনার সিকিউরিটি তুলে দেওয়া হয়েছে। উনি আমাকে নিজে এ কথা বলেছেন।” প্রসঙ্গত, ১১২ ফুটের দুর্গা তৈরি করে গিনিস বুকে নাম তুলতে চেয়েছিল রানাঘাটের অভিযান সংঘ। কিন্তু, ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করেছে প্রশাসন। নানা দফতর ঘুরেও মেলেনি অনুমতি। শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের কোর্টে ছিল বল। অনুমতি দেননি তিনি।