নদিয়া: শনিবার রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির এই সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা মারা হয় বলে অভিযোগ। এই খবর দিল্লিতেও জানানো হয়েছে বলেই সূত্রের দাবি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে বিষয়টি জানানো হয়। এরই মধ্যে রবিবার জগন্নাথ সরকারকে নিরাপত্তা দিল রাজ্য। সূত্রের খবর, এবার থেকে রাজ্যের দুই পুলিশ কর্মী থাকবে সাংসদের সঙ্গে।
শনিবার বিকেলে দ্য কাশ্মীর ফাইলস সিনেমা দেখে কল্যাণী থেকে ফিরছিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। রাতে হরিণঘাটায় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। গাড়িতে সাংসদ ছাড়াও ছিলেন আরও পাঁচজন। কেউ জখম না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাংসদের গাড়ি। এই ঘটনার পরই সাংসদ জানান, “এভাবে ভয় দেখিয়ে মানুষের থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।” অন্যদিকে দলীয় সাংসদের উপর হামলার অভিযোগ রবিবার পথে নামে বিজেপি।
ফুলিয়া মোড়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান দলের কর্মী সমর্থকরা। সাংসদের উপরে হামলার প্রতিবাদে কলকাতার বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সংঘমিত্রা চৌধুরী, কেয়া ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সম্প্রতি দুই কাউন্সিলরকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এবার সাংসদের গাড়িতে হামলার অভিযোগ। বারবার কেন জনপ্রতিনিধিরা আক্রান্ত হচ্ছেন, এ প্রশ্ন তুলেই বিরোধীরা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার তীব্র নিন্দা করেন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এ রাজ্যে এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। যেদিকে রাজ্য যাচ্ছে তাতে আগামিদিনে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের পরিস্থিতি না তৈরি হয় আমাদের সে আশঙ্কা হচ্ছে।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “পশ্চিমবাংলায় মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। মন্ত্রী বলছেন, গুলি বন্দুক না থাকলে পুলিশের কাজ কী! মানুষ কি এতটুকু নিরাপত্তাও পাবে না? তার জন্যও পুলিশি পাহারা লাগবে?”
সাংসদ হওয়ার পর থেকে ‘এক্স’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন জগন্নাথ সরকার। সম্প্রতি তা কেন্দ্র তুলে নেয়। এরইমধ্যে শনিবারের ঘটনার পর নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও রাজ্য তাঁকে নিরাপত্তা দিয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে দুই নিরাপত্তারক্ষী।
আরও পড়ুন: Asansol By-Election: আসানসোলে পা রেখেই বিরোধীদের ‘খামোশ’ থাকার বার্তা শত্রুঘ্নর