CAA: ‘৭০-৭৫ বছর দেশে থাকার পর প্রমাণ দিতে হবে?’ সিএএ নিয়ে মতুয়াগড়ে সরব অভিষেক

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 17, 2022 | 8:00 PM

Nadia: গত লোকসভা ভোটের আগে থেকে সিএএ নিয়ে জোর তরজায় রাজ্য-কেন্দ্র। ভোট এগোলে, এ তরজা নতুন করে মাথা চাড়া দেয়।

CAA: ৭০-৭৫ বছর দেশে থাকার পর প্রমাণ দিতে হবে? সিএএ নিয়ে মতুয়াগড়ে সরব অভিষেক
রানাঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Follow Us

নদিয়া: শনিবার মতুয়া অধ্যুষিত রানাঘাটে জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভা থেকেই সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। প্রশ্ন তোলেন, একটা আইন ২০১৯ সালে হওয়ার পর কেন তিন বছর ধরে তার নিয়ম বিধি (Rule Frame) তৈরি করা গেল না? একইসঙ্গে অভিষেক বলেন, যে দেশে মানুষ স্বাধীনতার পর ৭০ বছর ধরে বাস করছেন, কেন সে দেশে তাঁকে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে? কেনই বা কেন্দ্রের দেওয়া ছাড়পত্রের উপর নির্ভর করবে তাঁর দেশের পরিচিতি? অভিষেক বলেন, “নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে কেন আপনাকে? ৭০ বছর ধরে আপনার বাবা, ঠাকুর্দা এখানে সম্মানের সঙ্গে আছেন। আজ তাঁদের প্রমাণ দিতে হবে ভারতবর্ষের নাগরিক তাঁরা? এর থেকে অপমানের কী আছে? আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড আছে। সব থাকার পরও বলছে আমি কাগজ দেব, তারপর স্বীকৃতি পাবে।”

গত লোকসভা ভোটের আগে থেকে সিএএ নিয়ে জোর তরজায় রাজ্য-কেন্দ্র। ভোট এগোলে, এ তরজা নতুন করে মাথা চাড়া দেয়। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলা নদিয়ায় এই সিএএর গুরুত্ব যথেষ্ট। জেলার রানাঘাট, শান্তিপুর, চাকদহে মতুয়া ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর। আর সিএএর প্রভাব এই মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বিজেপি যখন সিএএর সমর্থনে হাওয়া গরমে নেমেছে, তখন শাসকদল বোঝাতে মরিয়া সিএএ কতটা বাস্তব ভিত্তিহীন।

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মানুষকে সিএএ নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে। ২০১৯ সালের আগে সভা করে বলেছিল সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (CAA) আনব। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে, খুব সম্ভবত ১৩ তারিখ সেই বিল আইনে পরিণত হয়েছে। তিন বছর অতিক্রান্ত হয়েছে সেই আইনের। এখনও পর্যন্ত নিয়মবিধি তৈরি হয়নি। ভারতবর্ষের একমাত্র আইন যা আইনসভায় পাশ হয়েও আইনের রুল ফ্রেম হয়নি। আইন পাশ হলে এক দেড় মাসের মধ্যে তার রুল ফ্রেম হয়ে যায়। সিএএর সময় এত লাগছে কেন? কারণ, মানুষকে বোকা বানানো।”

অভিষেকের সংযোজন, “আপনারা বলুন, ৭০-৭৫ বছর ধরে দেশ স্বাধীনের পর আপনি যে বাড়িতে আছেন, সেখানে ঢোকার আগে কেউ যদি প্রমাণপত্র দেখাতে বলে ভাল লাগবে? সিএএর কথা বলে রানাঘাট, বনগাঁর মানুষকে এরা অপমানিত করছে। ভোট দিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচন করেছেন, জেলা পরিষদ, মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন। আপনারা যদি অবৈধ হন, তাহলে তো সবই অবৈধ। গ্রামপঞ্চায়েত, সরকার অবৈধ।”

অসমের প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, “অসমে কী হয়েছে দেখেছেন। ১৯ লক্ষ লোককে বাদ দিয়ে দিয়েছে। ১২ লক্ষ হিন্দু বাঙালি। তাঁদের ঠাঁই এখন ডিটেনশন ক্যাম্পে। একইভাবে আপনাদের প্রতারিত করার চেষ্টা করছে।”

Next Article