বোলপুর: মিলে গেল অনুব্রত মণ্ডলের কথা। বীরভূমে তৃণমূলের শেষ কথা অনুব্রত মণ্ডল দিন কয়েক আগে বিশ্বভারতীর ভিতরে ঢুকে তৃণমূলের পতাকা লাগানোর হুঙ্কার ছেড়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রার আগে মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে আশ্রমিকরা দেখলেন সবুজে ঢাকা চেনা বিশ্বভারতী চত্বর হঠাৎ অচেনা হয়ে গিয়েছে, সৌজন্যে কয়েকশো তৃণমূলী ঝান্ডা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে বিশ্বভারতীর এমন পতাকা মোড়া রূপ আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব।
আরও পড়ুন: ‘ডেভলপমেন্টটা কেষ্টর থেকে কেউ ভাল বোঝে না’, ভূয়সী প্রশংসা মমতার
যে দল বিশ্বভারতীতে পাঁচিল তোলা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারেবারে খড়্গহস্ত হয়েছিল, তারাই এবার গুরুদেবের আশ্রম জুড়ে লাগিয়ে দিল দলীয় পতাকা। মঙ্গলবার সকালে ঘুম ভাঙতেই স্থানীয়দের চোখে পড়ে, তৃণমূলের পতাকায় ছয়লাপ বিশ্বভারতী চত্বর। পরিস্থিতি এমনই যে উপাসনা গৃহে প্রবেশের রাস্তা এখন ঘাসফুল ঝান্ডার দখলে বলা চলে।
আরও পড়ুন: ‘ভরসা পেলাম, আপনার শক্তিশালী কন্ঠ মন ছুঁয়ে গেল’, মমতাকে চিঠি অমর্ত্য সেনের
কয়েক দিন আগে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হুঙ্কার ছিল, বিশ্বভারতীর ভিতরে ঢুকে পতাকা লাগিয়ে দিয়ে আসব। সেই মতো কাজও হল। উল্লেখযোগ্য ভাবে, সেটা হল বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকের পর দিনই। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি তৃণমূল।
গতকালই বিশ্বভারতী থেকে রাস্তা ফেরত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর তার পরের দিনই শান্তিনিকেতনে এমন ঘটনা। অতি সম্প্রতি বিশ্বভারতী নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে চলছে বিরামহীন সংঘাত। কখনও বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর ‘নিমন্ত্রণ বিতর্ক’। কখনও আবার বোলপুরে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ি নিয়ে বিতর্ক। এবার সেই সংঘাত আবহেই নতুন করে বিতর্কের ইন্ধন জোগাল বিশ্বভারতীতে তৃণমূলের ঝান্ডা।