ইংরেজবাজার: সুতপা হত্যাকাণ্ডে (Sutapa Murder Case) নতুন মোড়। বহরমপুর থেকে পুলিশের একটি ৪ সদস্যের দল এল মালদহে(Malda)। এদিকে পুলিশি জেরায় এর আগে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন মূল অভিযুক্ত যুবক সুশান্ত চৌধুরী। তাঁর দাবি তাঁকে কয়েকবার মারধর করা হয়েছে। সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরীর বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ করেছে সুশান্ত। তাঁর দাবি লোক দিয়ে একাধিকবার হুমকি দিয়েছেন তিনি। মারধরও করা হয়েছে। সুশান্তের এ সব কথার পরিপ্রেক্ষিতেই মালদহে তদন্তে আসে বহরমপুর পুলিশ। সঙ্গে ছিল সুতপার বাবাও।
এদিন প্রথমে ইংরেজবাজার থানায় যান বহরমপুরের তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকেরা। সেখান থেকেই স্থানীয় পুলিশকে নিয়ে স্বাধীন চৌধুরীর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। তাঁর ইংরেজবাজারের সানি পার্কের এয়ারভিউ কমপ্লেক্সের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তদন্ত চালানো হয়। ঘরের দরজা বন্ধ করে প্রায় এক ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। এদিকে এলাকায় পুলিশ পৌঁছতেই নতুন করে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ইংরেজবাজারে। প্রসঙ্গত, ওই এলাকাতেই সুতপাদের বাড়ির উল্টোদিকে সুশান্তের পিসির বাড়ি। সেখানেই ছোট থেকে বড় হয়েছে সে। এমনকী এখানে থাকার সুবাদেই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে সুতপাদের বাড়িতে পড়তে যেত সুশান্ত। সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় সুতপার সঙ্গেও।
অন্যদিকে সুশান্তর সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরী। তাঁর সাফ দাবি, “সুশান্ত সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা কথা বলছে। মারধর করা হয়নি। এখন পুলিশ তদন্ত করছে। যা করার পুলিশ করবে”। যদিও এদিন পুলিশি জেরায় তাঁকে ঠিক কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সেই সম্পর্কে মুখ খুলতে চাননি তিনি। এমনকী বাড়ির অন্যান্য সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল কিনা সেই বিষয়েও জানা যাচ্ছে না। বাড়ির দরজা বন্ধ করেই চলে তদন্তের কাজ। তবে এদিন সুশান্তর পিসির বাড়িতে আলাদ করে যেতে দেখা যায়নি তদন্তকারী আধিকারিকদের। বহরপুরে ভর সন্ধ্যায় মেসের সামনে সুতপাকে খুন করেছিল সুশান্ত। প্রেমে প্রত্যাক্ষিত হওয়ার পরেই এই কাণ্ড ঘটায় সুশান্ত। যা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই জোরদার চাপানউতর চলছে রাজ্যের নাগরিক মহলে। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও। সেখানে একেবারে মালদহে গিয়ে স্বাধীন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনা কোনদিকে মোড় নেয় এখন সেটাই দেখার।