উত্তর ২৪ পরগনা: একটা মোটরবাইক। তাতে একটা ব্যানার লাগানো। বেশ কয়েকটি ‘ভালোবাসার ছবি’ আর একটি ‘রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেট’ । বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘সাত বছরের প্রতারণা।’ লাল কালিতে ‘বিচার চাই’। পাশেই মুখে রুমাল বাঁধা এক যুবক বসে। হাতের পোস্টারে আরও বিস্ফোরক লাইন… ‘হত্যা করার চেষ্টা’ (Allegations of fraud) শনিবার সকাল থেকে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের দেবীনগরের বাসিন্দারা এই যুবককে ঘুরে ঘুরে দেখছেন। আর গোটা পরিস্থিতির সাক্ষী থাকছেন। এসবের মধ্যেই উল্টোদিকে ঝা চকচকে দোতলাব বা়ড়ির বন্ধ কলাপসিবল গেটের অপরপ্রান্ত থেকে এক মহিলা বলে চলেছেন, “ছেলেখেলা হচ্ছে নাকি…”
জিজ্ঞাসা করতে জানা যায়, ওই যুবকের নাম সৌমেন। তিনি অশোকনগরের মানিকতলার বাসিন্দা। আর যে বাড়ির সামনে তিনি বসে রয়েছেন, সেটি তাঁর প্রেমিকা বলা ভালো স্ত্রীর বাপেরবাড়ি। সাত বছর ধরে ওই বাড়িরই মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। ভালোবাসা পরিণতি পায় বিয়েতে। যেহেতু মেয়ের পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মানেনি, তাই লুকিয়ে ‘রেজিস্ট্রি ম্যারেজ’ করেন তাঁরা। গত কয়েক বছর ধরে ওই তরুণীর পড়াশোনার খরচও তিনি চালিয়েছেন বলে দাবি করছেন।
অভিযোগ, ইদানীং তরুণীর পরিবার সৌমেনকে অস্বীকার করছে। তাঁদের মেয়েকে দেখাও করতে দিচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা। অনেক চেষ্টা করেও লাভ না হওয়ায় এবার ‘বউ ফেরত চাই’ বলে ধরনায় বসেছেন সৌমেন।
আর তরুণীর পরিবার? বন্ধ গেটের ভিতর থেকে ওই তরুণীর মা বলছেন, ” ফালতু ছেলে। কোথা থেকে এসেছে ও? ধরনা কী? সিরিয়াল করতে এসেছে নাকি? আপনারা এসব শুনছেন কেনো? ”
তরুণীর মা দাবি করছেন, “মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে সৌমেন। আমরা তখন জানতাম না। পরে থানায় অভিযোগ করি।” এই সম্পর্ক কোনওদিনই মানবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
আর সৌমেন বলেন, “আমি আমার বউকে যে কোনওভাবেই ফেরত পেতে চাই।”