‘দুয়ারে সরকারে’র পাল্টা ‘গৃহসম্পর্ক’? পথে নামলেন তথাগত

Dec 05, 2020 | 4:29 PM

মমতা সরকারের 'দুয়ারে দুয়ারে' কর্মসূচির পাল্টা ' গৃহ সম্পর্ক অভিযান' শুরু করল গেরুয়া শিবির (Griho Somporko Abhijan)।

দুয়ারে সরকারের পাল্টা গৃহসম্পর্ক? পথে নামলেন তথাগত
সোনারপুরে মহামায়া মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন তথাগত রায়

Follow Us

TV9 বাংলা ডিজিটাল: লড়াই এবার আপনার দুয়ারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির পাল্টা হিসাবে শনিবার ‘গৃহ সম্পর্ক অভিযান’ শুরু করল গেরুয়া শিবির, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। একুশের কঠিন লড়াইয়ের আগে মানুষের মন পেতে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল-বিজেপি। রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসক দলের এখন লক্ষ্য একটাই, কোন সরকার কতটা কাজ করেছে এবার জনতার দুয়ারে গিয়ে সেই খতিয়ানই তুলে ধরবে তারা।

শুধু লক্ষ্য এক তাই নয়, উদ্দেশ্যও অভিন্ন। পার্থক্য শুধু কর্মসূচির নামে। মমতা সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি মনে করিয়ে দিয়েছিল ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক ইজরায়েলের কথা। যিনি আদতে পরিচিত ‘মানুষের নেতা’ হিসাবে। ২০০৬-২০০৮ সাল পর্যন্ত ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক থাকাকালীন জঙ্গলমহলের সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রশাসনের যোগসূত্র আরও নিবিড় করতে তিনি শুরু করেছিলেন ‘দুয়ারে প্রশাসন’ কর্মসূচি। উদ্দেশ্য, একেবারে গরিব মানুষগুলোর উঠোনে বসে চায়ের কাপ হাতে তাঁদের সমস্যার কথা শোনা।

এক্ষেত্রেও মমতা প্রশাসনও সেই কাজটাই করতে চেয়েছে। জনমত তৈরি করতে একেবারে জনতার দুয়ারকেই বেছে নিয়েছে তারা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, এই প্রকল্পে বিস্তর সাড়া মিলছে।

তবে এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলকে বিশেষ স্বস্তি দিতে নারাজ শাহ-মোদী জুটিও। তাই বিজেপিও সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে শুরু করল ‘গৃহ সম্পর্ক অভিযান’, এমনটাই বিশ্লেষণ পর্যবেক্ষকদের।

ইতিমধ্যেই পুরুলিয়ায় সেই অভিযান শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনাপুরের কর্মসূচির সূচনা করলেন তথাগত রায়। তাঁর বক্তব্য, এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপি কর্মীরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের দলের আদর্শ ও কর্মধারা সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ছবি তুলে ধরবেন।

এদিন সোনারপুর এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন তথাগত রায়। রাজ্য সরকারের নানা জনবিরোধী নীতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করেন। জানতে চান, তাঁরা রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্প যথাযথ ভাবে পাচ্ছেন কিনা! এরপরই সাংবাদিকদের সামনে প্রত্যাশিতভাবেই রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হন তিনি। বলেন, “বিজেপি ব্যক্তি পূজারি নয় এবং বিজেপি বাঙালি পার্টি নয় বলে যে প্রচার চালানো হচ্ছে তা মিথ্যে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” কৃষি আইন নিয়েও বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “কৃষি আইন সম্পর্কে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। এর পিছনে কিছু বিদেশি শক্তির মদত থাকলেও থাকতে পারে। এটি একটি প্রগতিশীল আইন। সব প্রগতিশীল আইনকেই প্রথমে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।”

আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্য সাথী’র হয়রানি বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য, উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মুখ্যসচিব

বাংলা তথা দক্ষিণ ভারতে বিজেপি ক্রমবর্ধমান প্রসার সম্পর্কে তিনি বলেন, “গ্রেটার হায়দরাবাদের পুর নির্বাচন এটাই ইঙ্গিত দেয় বিজেপি দক্ষিণ ভারত জুড়ে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। তৃণমূল অত্যন্ত নিন্মমানের সংখ্যালঘু সাম্প্রদায়িকতা করে। মিমের সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগাযোগ নেই।”

Next Article