P Chidambaram: ‘কংগ্রেসের কোনও নেতা যদি এখানে তৃণমূলের দালালি করতে আসেন…’, সতর্ক করে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র
P Chidambaram: কৌস্তভ বাগচি বলেন, "তৃণমুলের হয়ে দালালি করতে এসেছিলেন। তারই প্রতিবাদ করা হয়েছে। আইনজীবী হিসেবে নয়, কংগ্রেসের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে এটা প্রতিবাদ আদালতের বাইরে।"
কলকাতা: মেট্রো ডেয়ারি মামলায় রাজ্য সরকারের পক্ষে সওয়াল করতে কলকাতা হাইকোর্টে এসেছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী পি চিদম্বরম। রাজ্যের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে এই মামলা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ফলে পি চিদম্বরমের এমন ভূমিকা মেনে নিতে পারেননি কংগ্রেসপন্থী আইনজীবীরা। এজলাস থেকে বেরোতেই কংগ্রেসপন্থী আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় চিদম্বরমকে। ‘তৃণমূলের দালাল’, এমন কথাও হজম করতে হয়। পি চিদম্বরম প্রসঙ্গে আইনজীবী তথা কংগ্রেস মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি বলেন, “তৃণমুলের হয়ে দালালি করতে এসেছিলেন। তারই প্রতিবাদ করা হয়েছে। আইনজীবী হিসেবে নয়, কংগ্রেসের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে এটা প্রতিবাদ আদালতের বাইরে।”
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের এজলাসের বাইরে আইনজীবীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কৌস্তভ বাগচি আরও বলেন, “আমার যেমন আইনজীবী একটি সত্ত্বা রয়েছে, তেমনই রাজনৈতিক একটি সত্ত্বা রয়েছে। জাতীয় কংগ্রেসের একজন সৈনিক আমি। প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্রের দায়িত্বে রয়েছি। কংগ্রেসের যে লাখ লাখ কর্মীরা রয়েছেন, তাঁদের অনুভূতির জায়গাটা তুলে ধরার জন্য পি চিদম্বরমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। স্পষ্টত সম্পূর্ণ রাজনৈতিক জায়গা থেকে তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি কংগ্রেসের সর্বোচ্চ স্তরের একজন নেতা। যেখানে কংগ্রেসের কর্মীরা দিনের পর দিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে মার খাচ্ছে, একসময় আপনিও গোয়ায় গিয়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। দলের জাতীয় কমিটির অবস্থান এখন সম্পূর্ণভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাহলে আপনি কেন এমন একটি মামলা করতে আসছেন, যেখানে পক্ষান্তরে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে?”
তিনি আরও বলেন, “আমি প্রশ্ন করেছিলাম, যে জনস্বার্থ মামলাটি অধীর রঞ্জন চৌধুরী করেছিলেন মেট্রো ডায়েরির এত বড় কেলেঙ্কারি নিয়ে, তখন আপনি কেন এই মামলা খারিজের দাবি করছেন? হাজার হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। কিন্তু ওনাকে বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রচণ্ড রেগে গেলেন। খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করলেন। সেই কারণে আমরা তাঁর তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছি। আমরা তাঁকে বলেছি, এই ধরনের দালালি পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস কর্মীরা মেনে নেবেন না। এই ধরনের দালালি যদি তিনি করতে আসেন, তাহলে তাঁকে এই ধরনের বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলছি, শুধু চিদম্বরম নয়, কংগ্রেসের কোনও নেতা যদি এখানে তৃণমূলের দালালি করতে আসেন, তিনটি জিনিস তাঁদের জন্য অপেক্ষা করবে – জুতার মালা, কালো পতাকা ও গো ব্যাক স্লোগান।” এর পাশাপাশি তিনি এও স্পষ্ট করে দেন যে এর সঙ্গে তাঁর পেশার কোনও সম্পর্ক নেই। বলেন, “আমি যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম, তখন আমি রোব বা ব্যান্ড পরে ছিলাম না।”