Arjun Singh on TMC Leader Murder Case: ‘রাইফেল ফ্যাক্টরির দেনাপাওনা নিয়ে ঝামেলা, নিজেদের মধ্যেই কাটাকাটি করেছে’

North 24 Pargana: শনিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার মনোজ বর্মা বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে পৌঁছন। খুঁটিয়ে দেখেন ঘটনাস্থল। কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Arjun Singh on TMC Leader Murder Case: 'রাইফেল ফ্যাক্টরির দেনাপাওনা নিয়ে ঝামেলা, নিজেদের মধ্যেই কাটাকাটি করেছে'
মন্তব্য অর্জুনের (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2022 | 11:28 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: ইছাপুরে তৃণমূল নেতা খুনে বিজেপির কেউ যুক্ত নয় বলে সাফ দাবি ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh)। অর্জুন জানিয়েছেন, রাইফেল ফ্যাক্টরির দেনাপাওনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল, সেখান থেকেই গোপাল মজুমদার খুন হয়েছেন। বিজয় মুখোপাধ্যায় নামে যে বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে সেই বিজয় কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের সন্ত্রাসের শিকার হন বলে অভিযোগ অর্জুনের।

ব্যারাকপুর সাংসদের কথায়, “তদন্ত না করেই কী করে একজনকে আটক করা হল? ব্যারাকপুরে একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। তৃণমূলের এ টিম, বি-টিম রয়েছে। নিজেদের মধ্যেই তারা ঝগড়া করে। সেখান থেকেই বিরোধ। বিজয়ের সঙ্গে কোনও গণ্ডগোল হয়নি। বরং, বিজয়ের উপর হামলা করা হয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে ও বেঁচে ফেরে।” তাঁর আরও সংযোজন, “রাইফেল ফ্যাক্টরির ঠিকাদারি নিয়ে ঝামেলা চলছিল। সেখানে দেনাপাওনা নিয়ে বচসার জেরেই নিজেদের লোকেদের দিয়ে খুন করিয়েছে। এখানে বিজেপির কোনও যোগ নেই।”

ইছাপুরে তৃণমূল নেতার খুনে (TMC Leader Murder Case)  কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় শাসক শিবিরের অভিযোগ বিরোধীদের দিকে। ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনায় বিজয় মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শোনা গিয়েছে, অভিযুক্ত বিজয় ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ।

অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন ইছাপুরের তৃণমূল নেতা গোপাল মজুমদার। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই খুনের হুমকি পাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা। তাঁর স্ত্রী শিপ্রা মজুমদারকেও কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু দুজনেই সেযাত্রায় পালিয়ে বাঁচেন তাঁরা। ফের শনিবার রাতে গোপালবাবুর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে।  তখনই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।

নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রীয়ের কথায়, “আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন। লোকটা এত ভাল ছিল, সারাদিন পার্টি আর পার্টি…কোনওদিন অন্য কোনও নেশা দেখিনি। মানুষের যখন যা দরকার হয়েছে ছুটে গিয়েছে। কখনও না বলতে শুনিনি। সেই মানুষটাকে এইভাবে সরিয়ে দিল। আমি এর বিচার চাই।”

নিহত তৃণমূল নেতার মেয়ে অন্যদিকে একটি অন্য অভিযোগ এনেছেন। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি বলেছেন, “আমার বাবা উন্নতি করছিল। তাই সরিয়ে দিল। বাবা বেশ কিছুদিন ধরেই বলছিল ওরা বাবাকে নাকি মেরে দেবে। নাম ধরে কিছু বলেনি। আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। তিনি খুব ভাল করেই আমার বাবাকে চেনেন। খুব ভাল যোগাযোগ। আমি কিছু চাই না, কেবল বিচার চাই।”

শনিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার মনোজ বর্মা বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে পৌঁছন। খুঁটিয়ে দেখেন ঘটনাস্থল। কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তৃণমূলের তরফে দুষ্কৃতীদের শাস্তির পাশাপাশি বিজেপির দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। যদিও সে অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি।প্রসঙ্গত, ইছাপুর এলাকায় জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত ছিলেন গোপাল। কিছুদিন আগে বিজয়ের সঙ্গে তাঁর গণ্ডগোল হয় বলে অভিযোগ। সেই গণ্ডগোলের জেরেই এই খুন কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: Bengal BJP: শান্তনুর বাড়িতে ফের বৈঠকে রীতেশ-জয়প্রকাশ, রবিবারই দিল্লি যাত্রা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর