কামারহাটি: এবার ইডি-র নজরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গাড়ির চালক। জানা গিয়েছে, তিনি উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। নাম কল্যাণ ধর। ওই ব্যক্তি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের তিনটি কোম্পানির ডিরেক্টর। রেজিস্ট্রারে নাম রয়েছে তাঁর। সরকারি হিসাব বলছে অর্পিতার তিনটি কোম্পানির ৫০ শতাংশের পার্টনারশিপ রয়েছে তাঁর।
কল্যাণ ধর অর্পিতার গাড়ি চালক। পাশাপাশি তিনি সম্পর্কে অর্পিতার জামাইবাবু। বৃহস্পতিবার টিভি৯ বাংলার সাংবাদিক পৌঁছে যায় কামারহাটিতে। প্রথমে যদিও টিভি ৯ বাংলার প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে চাননি তিনি। পরে ক্যামেরার মুখোমুখি হয়। এলাকায় পৌঁছতেই দেখা গেল কল্যাণবাবু বাড়ি। বাড়িটি দেখলেই বোঝা যাবে সেটি সদ্য তৈরি হয়েছে।
যদিও, ওই ব্যক্তি নিজেকে ডিরেক্টর বলে অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ‘আমি ডিরেক্টর হলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মত অনেক সম্পত্তি থাকত।’ এরপর তিনি নিজেকে অর্পিতার জামাইবাবু পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আমায় জানিয়ে উনি ডিরেক্টর করেননি। না জানিয়ে করেছেন। যে বাড়িতে আমি থাকি সেই বাড়ি আবার বাবার টাকায়। যার সরকারি সমস্ত দলিল সঠিক রয়েছে।’
কল্যাণ ধর বলেন, ‘আমি গাড়ি চালাই। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গাড়ি চালাতাম। তার আগে প্রাইভেট কোম্পানির গাড়ি চালাতাম। বিগত কুড়ি-বাইশ বছর ধরে আমি গাড়ি চালাই। আমি জানতাম না এত টাকা রয়েছে। জানলে নিয়ে আসতাম। টাকা কে না চায়। আমার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। ইডি যদি যোগাযোগ করে তাকেই বাকিটা বলব।’ এরপর স্ত্রীর চাকরি পাওয়া নিয়ে কল্যাণবাবু বলেন, ‘আমার স্ত্রী কয়েক বছর আগে
স্কুলের চাকরি পান। গ্রুপ-ডি পদে চাকরি করেন তিনি। এসএসসি নয়।’ বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে টাকা উদ্ধার নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার আত্মীয় হয়। আমি গিয়েছি। তবে কোনও দিনও সন্দেহ হয়নি যে এরকম সম্পত্তি রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে চক্রান্ত হচ্ছে। যদিও, স্থানীয় বাসিন্দারা এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।