Attack on MLA: বিধায়ককে টেনে নামিয়ে ব্যাটন দিয়ে মার, কালীপুজোর রাতে আহত উষারানি মণ্ডল

Attack on MLA: মিনাখাঁ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক উষারানি মণ্ডলের এলাকায় আগেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা শোনা গিয়েছে। তবে কালীপুজোর দিন যে ঘটনা ঘটল, তা চাঞ্চল্যকর।

Attack on MLA: বিধায়ককে টেনে নামিয়ে ব্যাটন দিয়ে মার, কালীপুজোর রাতে আহত উষারানি মণ্ডল
আক্রান্ত উষারানি মণ্ডলImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2024 | 9:40 AM

হাড়োয়া: কালীপুজোর রাতে আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক উষারানি মণ্ডল। বৃহস্পতিবার হাড়োয়ায় আক্রান্ত হন উষারানি। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট ছোড়া হয়, তাঁকে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে ব্যাটন দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত তাঁর স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলও। বিধায়কের একাধিক অনুগামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় আঙুল উঠছে তৃণমূল নেতৃত্বের দিকেই। এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অনেকেরই জানা। আর এবার প্রকাশ্য়ে দলের নেতার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুললেন বিধায়কের স্বামী।

পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা আব্দুল খালেক মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন উষারানির স্বামী মৃত্যুঞ্জয়। তিনি বলেন, “থানায় কালীপুজো হয়েছিল। সেখানে নিমন্ত্রণ ছিল আমাদের। সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ আব্দুল খালেক মোল্লার নেতৃত্বে ১০০-২০০ জন লোক আক্রমণ করে। বিধায়কের গাড়িতে ইঁট মারে ওরা। বিধায়ককে টেনে নামিয়ে ব্যাটনের পায়ে মারা হয়। রক্তাক্ত হয়।”

শুধু উষারানি নয়। তাঁর পাঁচ অনুগামীও আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। উষারানির স্বামীর দাবি, পুলিশের উপস্থিতিতেই এই আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

উল্লেখ্য, হাড়োয়া এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে উঠেছে একই অভিযোগ। আর মাস কয়েক আগে এই উষারানি মণ্ডলের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এমনকী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তাঁর অনুপস্থিতিও চোখে পড়েছিল অনেকেরই। উষারানির নাম নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন খোদ মমতা। তিনি সভা থেকে বলেছিলেন, “তৃণমূলের বিধায়ক থাকবেন কিন্তু মিটিংয়ে আসবেন না, এটা চলবে না। যতক্ষণ না ক্ষমা চেয়ে পায়ে ধরবে, ততক্ষণ উষারানি মণ্ডলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আপনাদের মতো লোক চাই না।”

মমতার সেই বক্তব্যের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কথায় বাহিনী বুঝে গিয়েছে যে উষারানি দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন। ফলে পুলিশেরও আগ্রহ কমছে। তাই এই ঘটনা।”