বারাকপুর: বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ার মামলায় এনআইএ আদালতে এফআইআর কপি-সহ বাকি নথিপত্র পেশ করল বারাকপুর কমিশনারেট। সাংসদের বাড়িতে বোমবাজি মামলার তদন্তভার আগেই নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ। তদন্তও সেই মতো শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই মামলাতেই আদালতের নির্দেশ মেনে এই মামলার যাবতীয় নথিপত্র এনআইএ আদালতে পেশ করা হল। যা এনআইএ-র হাতে তুলে দেয় আদালত।
গত সপ্তাহে মামলার তদন্তভার নেওয়ার পর এনআইএ আদালতের কাছে আবেদন করে, বারাকপুর কমিশনারেট যেন বোমাবাজির মামলার এফআইআর কপি এবং কেস ডিটেলস তাদের হাতে তুলে দেয়। সেই মতো আদালতের পক্ষ থেকেও ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে বলা হয়। আদালতের মাধ্যমেই সেই নথি পৌঁছে যায় এনআইএ-র কাছে। অর্জুনের বাড়ির সামনে বোমাবাজির মামলা চলছিল জগদ্দল থানায়। জগদ্দল থানার পুলিশ প্রাথমিকভাবে যে তদন্ত করেছিল, তারই বিস্তারিত তথ্য আদালতে সঁপে দেওয়া হয়েছে। আদালতও সেই নথি কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছে বলে খবর সূত্রের।
পাশাপাশি এই মামলায় অভিযুক্তদেরও আজ হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছিলআদালত। বোমাবাজির মামলায় এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে হেফাজতেও নিয়েছিল বারাকপুর কমিশনারেট। কিন্তু বোমাবাজির ঘটনার তদন্তভার এনআইএ গ্রহণ করার পরই জামিনে মুক্ত হয়ে যায় ওই ব্যক্তি। যে কারণে খাতায়-কলমে একমাত্র অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়নি। শুধু মাত্র আদলতকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই মামলার একজন অভিযুক্ত জামিনে মুক্ত।
এনআইএ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনা এবং তদন্ত প্রক্রিয়ার নথি হাতে চলে আসায় এ বার তদন্তের গতিপ্রকৃতি আরও দ্রুত এগোবে। সাংসদের বাড়ির সামনে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, কার নির্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে, সেই বিষয়গুলি শীঘ্রই সামনে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর সাতসকালে সিআইএসএফ প্রহরার দেড় ফুটের মধ্যেই সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনার ঘটে। এর আগে ভোট পরবর্তী পর্যায়ে জুলাই মাসেও অর্জুনের বাড়িতে বোমাবাজি হয়। সিআইএসএফ-এর উপস্থিতিতেই বারে বারে এমন ঘটনায় প্রশ্ন ওঠে সাংসদ অর্জুন সিং এবং তাঁর পুত্র বিধায়ক পবন সিং-এর নিরাপত্তা নিয়ে। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত অর্জুন সিং-কে ফোন করে তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অর্জুনের অবশ্য দাবি, ভবানীপুর উপনির্বাচনে তাঁকে পর্যবেক্ষক করেছে দল। তাই জন্যই তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আগেও ১১ বার তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Coal Scam Case: দিল্লি হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের, ইডি-র সমনে স্থগিতাদেশ দিল না আদালত