AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sukanta Majumder: ‘বাংলার লক্ষ্মীরা নারায়ণহারা’, ‘পরিযায়ী’ইস্যুতে সরব সুকান্ত

Sukanta Majumder On Migrant Workers: বারাকপুরে সংকল্প যাত্রায় সুকান্ত বললেন, "বাংলার সব লক্ষ্মীরা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন। কিন্তু লক্ষ্মীদের কাছে নারায়ণ নেই, নারায়ণ কোথায়?" নিজেই উত্তর দেন, " নারায়ণ গুজরাটে, ইটের ভাটা ইট চাঁই মাথায় নিয়ে উঠছে, কোথাও ধান লাগাতে গিয়েছে, কোথাও ছোট একটা রোজগারের কাজ করছে! কারণ বাংলায় রোজগার নেই। বাংলার লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করেছে তৃণমূল।"

Sukanta Majumder: 'বাংলার লক্ষ্মীরা নারায়ণহারা', 'পরিযায়ী'ইস্যুতে সরব সুকান্ত
বারাকপুরে সংকল্প যাত্রায় সুকান্ত মজুমদারImage Credit: TV9 Bangla
| Updated on: Nov 28, 2025 | 6:33 PM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: দোরগোড়ায় ছাব্বিশের নির্বাচন। তার মধ্যে রাজ্যে চলছে এসআইআর। এরই মধ্যে যুযুধান প্রতিপক্ষ ময়দানে নেমে পড়েছে। শাসকদলের হাতিয়ার এবারের বাঙালি অস্মিতা। সেই অস্মিতাতে আবার শান দিচ্ছে বিজেপিও। আর তাতে কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সবথেকে বড় চরিত্র পরিযায়ী শ্রমিক। কারণ এই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলা ভাষায় কথা বলা নিয়ে ভিন রাজ্যে হেনস্থার শিকারের একাধিক অভিযোগ এসেছে। তাতে তপ্ত হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। তাঁদেরকে কেন বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে সংসদেও ঝড় তুলেছে তৃণমূল।

পাল্টা বিজেপি এই পরিযায়ী শ্রমিকদেরই হতিয়ার করে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন বাংলার শ্রমিকদের বাইরে যেতে হচ্ছে কাজে? কেন বঙ্গে নেই কর্মসংস্থান। সঙ্গে আবার বাংলায় নারী মর্যাদা, কর্মসংস্থান, শিক্ষা-সহ একগুচ্ছ ইস্যু! বাংলায় সরকার বদলের ডাক দিচ্ছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে বাংলায় শুরু হয়েছে সংকল্প যাত্রা। এবার এই সংকল্প যাত্রায় গিয়ে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সুর চড়ালেন, কেন বাংলার ‘লক্ষ্মীরা’ নারায়ণ-হারা?

বারাকপুরে সংকল্প যাত্রায় সুকান্ত বললেন, “বাংলার সব লক্ষ্মীরা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন। কিন্তু লক্ষ্মীদের কাছে নারায়ণ নেই, নারায়ণ কোথায়?” নিজেই উত্তর দেন, ” নারায়ণ গুজরাটে, ইটের ভাটা ইট চাঁই মাথায় নিয়ে উঠছে, কোথাও ধান লাগাতে গিয়েছে, কোথাও ছোট একটা রোজগারের কাজ করছে! কারণ বাংলায় রোজগার নেই। বাংলার লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করেছে তৃণমূল।”

এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই বাংলায় মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েও সওয়াল করেন। সুকান্তর কথায়, “তৃণমূল মেয়েদের সম্মান করতে পারে না। তাই বাংলার মহিলাদের বলছি, আপনাদের নারায়ণ ছাড়া হতে হয়েছে, তৃণমূলকে ভোট দিলে ইজ্জত ছাড়া হতে হবে।” সুকান্ত ডাক দেন, বাংলাকে বাঁচাতে হলে পরিবর্তন করতেই হবে।

রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, ছাব্বিশের নির্বাচনে তৃণমূল যে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতিয়ার করছে, সেই শব্দবন্ধের দিকে তাকিয়ে বিজেপিও। তবে বিজেপির কাছে এই ‘পরিযায়ী’ শব্দে আক্ষরিক অর্থ ভিন্ন। মমতা যে ২২ লক্ষ ‘পরিযায়ী’ বাঙালির কথা বলছেন, বিজেপির নজর তাঁদের দিকে নয়। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র-সহ বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থায় কাজ করতে বঙ্গের যুবাদের অনেকেই এখন দিল্লি, গুরুগ্রাম, নয়ডা, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদে। ইতিমধ্যেই ওয়েবসাইট খুলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি শুরু করছে বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চা। বিজেপির অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা বলে, তৃণমূল সরকার আদতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের দেশে মান্যতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর সেটারই ঝাড়াই বাছাইয়ে এসআইআর প্রক্রিয়া। তাই ‘পরিযায়ী’ শব্দের ব্যাখ্যা দুই দল দুই মেরুতে। তবে ছাব্বিশের নির্বাচনে এই ‘শব্দবন্ধই’ হাইভোল্টেজ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না, মত রাজনৈতিক মহলের।