Shootout: ভাটপাড়া শুটআউট কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্তের সঙ্গী

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 13, 2021 | 1:12 PM

Bhatpara Shootout: অভিযুক্ত মনোজ সাউয়ের সঙ্গে সুনীল খুনের ঘটনায় যুক্ত ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকান্দার দাস খুনের সময় মন্নুকে সাহায্যে করেছিল সুনীল।

Shootout: ভাটপাড়া শুটআউট কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্তের সঙ্গী
নিহত যুবক (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: ভাটাপাড়ায় (Bhatpara Shootout) ছোট শ্রীরামপুরের শুটআউট কাণ্ডে ধৃত এক। ভাটপাড়ার বাড়ির অদূরেই গুলি করে খুন করা হয় সিকান্দার দাস নামে এক যুবককে। খুনের ঘটনায় মনোজ সাউ ওরফে মুন্না নামে এক যুবকের নাম উঠে আসে। তারই সঙ্গী সুনিল সাউকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযুক্ত মনোজ সাউয়ের সঙ্গে সুনীল খুনের ঘটনায় যুক্ত ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকান্দার দাস খুনের সময় মন্নুকে সাহায্যে করেছিল সুনীল। তবে পুলিশ এখনও সিকান্দার খুনের পিস্তলটি উদ্ধার করতে পারেনি।

মনোজ সাইয়ের খোঁজে ভাটাপাড়া থানার পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। আজ ধৃত সুনীল সাউকে আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ সাত দিনের হেফাজতে চাওয়ার আবেদন জানাবে। সুনীলের বিরুদ্ধে সরাসরি খুন এবং বেআইনি অস্ত্র রাখার মামলা রজু করেছে পুলিশ।

২০ হাজার টাকার জন্য বাড়ির সামনে ডেকে এনে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে ভাটপাড়ায়।
শুটআউট ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকান্দার এলাকারই একটি মিলে কাজ করতেন। লকডাউনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে মিল। টাকার অভাবে সংসার চালাতে পারছিলেন না। মিলের ম্যানেজারের কাছ থেকেই ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কাজ না থাকায় সেই টাকা শোধ করতে পারছিলেন না।

এদিকে, বারবার টাকা চেয়ে মনোজ সাউ তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। এই নিয়ে তাঁকে একাধিকবার শাসানো হয় বলেও অভিযোগ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে বাড়িতেই ছিলেন সিকান্দার। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়িতে আসেন মনোজ।

অভিযোগ, তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। তারপর আচমকাই গুলির শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। সিকান্দারকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঘটনার মনোজ ওরফে মন্নুর বিরুদ্ধেই অভিযোগ আঙুল তোলে পরিবার। সিকান্দারের মা বলেছিলেন, “ওর বউটার শরীর খারাপ। বলল আমি ওর চিকিত্সাটা করিয়ে নিই। তারপর টাকা ফেরত দিয়ে দেবো। সবেমাত্র বউটাকে হাসপাতাল থেকে ফেরত এনেছিল। এরই মধ্যে ওকে ডেকে নিয়ে গেল। আমার ছেলে বলছিল, আমি পয়সা দিয়ে দেবো। আমার চোখের সামনে ছেলেটাকে গুলি করে দিল।”

তবে ভাটাপাড়ায় বারবার গুলি, বোমা এবং খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাদিন্দারা। দিনকে দিন বাড়ছে দুস্কতীরাজ। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসীরাও। স্থানীয়রাই বলছেন, ভাটপাড়া ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আত্মীয়রাও আসতে ভয় পাচ্ছেন বলে অভিযোগ।

কোথা থেকে এত বোমা- বন্দুক আসছে? আর পুলিশই বা কী করছে? প্রশ্ন এলাকাবাসীর। কবে শান্তি ফিরবে ভাটাপাড়ায়, সেই দিকে তাকিয়ে এলাকাবাসীরা।

আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে শরীরটা, পাশেই পড়ে মাছ! মহিলার মৃত্যুতে উঠে এল অন্য তত্ত্ব

আরও পড়ুন: ‘আমার মিথ্যা বলার প্রয়োজন নেই…’ আসানসোলে ধস এলাকায় ক্ষোভের মুখে দৃঢ় কন্ঠে অগ্নিমিত্রা

Next Article