উত্তর ২৪ পরগনা: তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল দেগঙ্গায় (Deganga)। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পারিবারিক অশান্তির কারণে এই ঘটনা নাকি এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ রয়েছে, কিংবা অন্য কোনও ইন্ধন — খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নিহত ওই পঞ্চায়েত সদস্যর (Trinamool Congressx1) নাম পম্পা দত্ত।
দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন পম্পা দত্ত। এরপর পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্য হিসাবে কাজ করছিলেন তিনি। সোমবার পম্পার নিজের ঘর থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবার সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কোনও সমস্যার কারণে তৃণমূলের এই নেত্রী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে সব দিক খোলা রেখেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্টেই ঘটনা স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে দলীয় নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে পৌঁছন দেগঙ্গার বিধায়ক মহিমা মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ একে এম ফারহাদ, দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজা, জেলা পরিষদের সদস্য ঊষা দাস-সহ দলীয় নেতা কর্মীরা।
২০০৮ সালে দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসাবে মনোনীত হন পম্পা দত্ত। ২০১৩ সাল থেকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস। দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত পম্পার এমন পরিণতির কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। একই পরিস্থিতি দলের অন্দরেও।
দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি বলেন, “তিন তিনবারের পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্য ছিল পম্পা দত্ত। গতকালও মানব পাচার বিরোধী একটা কর্মসূচিতে ও ছিল। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যায়। সোমবার আমরা বিডিও অফিসে বৈঠক করছিলাম। এই ঘটনা তখনই জানতে পারি। নিঃসন্দেহে এই খবর বেদনাদায়ক।”
সোমবার সকালে পম্পার স্বামী টুটুল দত্ত তাঁর মেয়েকে নিয়ে দেগঙ্গা বাজারে জামা কিনতে গিয়েছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। সেখানেই খবর পান, স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। বাড়িতে ফিরে পম্পাকে উদ্ধার করে বিশ্বনাথ পুর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দীপিকা চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনায় যথাযথ তদন্তের দাবি তুলেছেন। দীপিকার কথায়, “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। পরশুও আমি পঞ্চায়েত সমিতিতে গিয়েছিলাম। সেখানেও কথা হল। আমরা এক সঙ্গে সমিতির সদস্যই নয়, ও আমার গ্রামেরও মেয়ে।” এই ঘটনায় হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েন পম্পা দত্তের পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন: Bhabanipur By-Election: ভবানীপুরের ভোট নিয়ে রাজ্যের স্বস্তি, পিছল জনস্বার্থ মামলার শুনানি