Bhabanipur By-Election: ‘বুথে ছাপ্পা না হলে ভবানীপুরেও বিজেপি জিতবে’, মমতার গড়ে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর
Priyanka Tibrewal: সোমবার সকালে ভবানীপুরের গোলবাড়ি মন্দিরে পুজো দেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এরপর আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন পত্র পেশ করেন তিনি।
কলকাতা: উপনির্বাচনের ভরকেন্দ্র ভবানীপুর। সোমবার এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল (Priyanka Tibrewal) মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন। পাশেই বসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রিয়াঙ্কার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরই শুভেন্দু বলেন, এই লড়াই প্রিয়াঙ্কার একার নয়। সমগ্র রাজ্যবাসীর। এই লড়াই ক্ষমতা দখলের লড়াই নয়। গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “শাস্ত্র মতে, পঞ্জিকা মেনে শুভ কাজের জন্য আমরা এসেছি। লড়াইটা প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের একার লড়াই নয়। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত গণতন্ত্র প্রিয় মানুষের লড়াই। এমনকী আমি বলব, ভারতবর্ষের যাঁরা অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন দেখেন, এক দেশ শ্রেষ্ঠ দেশের স্বপ্ন দেখেন, ভারত মাতার বন্দন করেন তাঁদের সকলের লড়াই। কারণ পশ্চিমবাংলায় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যে ভাবে ৫৫ জন ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থক থেকে ভোটাররা প্রাণ দিয়েছেন, মহিলাদের ইজ্জত সম্ভ্রম লুন্ঠিত হয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কোর্টেও জানিয়েছে এ রাজ্যে আইনের শাসন নেই, শাসকদলের আইন চলছে। তাই গণতন্ত্রকে বাঁচানোর এই লড়াইয়ে ভবানীপুরের ভোটাররা বাড়িতে বসে থাকবেন না।”
ভবানীপুরে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরই প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। সম্প্রতি ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাকে সামনে রেখে বার বার যাঁর নাম শিরোনামে উঠে এসেছে। দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরাও বার বার বলেছেন, প্রিয়াঙ্কা তাঁদের লড়াকু নেত্রী। প্রিয়াঙ্কার লড়াই-ই ভোটের পরে হিংসা নিয়ে বিজেপির যে অভিযোগ ছিল, তাতে সিলমোহর এনে দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সিটও গঠিত হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বিরুদ্ধে প্রার্থী তিনি। তবে এই বিষয়টা তিনি খুব বেশি আমল দিতে চাইছেন না বলে স্পষ্ট বলে দিলেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের কথায়, “জয় নিয়ে আমি পুরোপুরি আশাবাদী। আমি মানুষের জন্য লড়াই করছি। বিধানসভা নির্বাচনে খুনের খেলা খেলেছে ওরা। এবারও যদি তাই করে তাহলে তো গণতন্ত্রের কোনও মানে হয় না। এই সরকার খুনীদের সমর্থন করেছে। এর প্রতিবাদে আওয়াজ তুলতে হবে।”
সোমবার সকালে ভবানীপুরের গোলবাড়ি মন্দিরে পুজো দেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এরপর আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন পত্র পেশ করেন তিনি। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও ছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং, দীনেশ ত্রিবেদী, শিশির বাজোরিয়া।
মনোনয়ন জমা দিয়ে প্রিয়াঙ্কার হুঁশিয়ারি ” বাংলা বাঁচাও, বাঙালি বাঁচাও স্লোগানকে সামনে রেখে লড়ব। একবার ভবানীপুরে ভোট হয়েছে। মানুষ তাঁদের রায় দিয়েছেন। তারপরও মুখ্যমন্ত্রী নিজের চেয়ার বাঁচাতে জোর করে ভোট করাচ্ছেন। আসলে উনি ভাবেন, উনি ছাড়া ওই চেয়ারে ওনার দলের আর কারও বসার যোগ্যতা নেই। সে জন্য কুর্সিটা ধরে রাখার জন্য ভোট করালেন।”
অন্যদিকে এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, “আমি তো একটা প্রতীক মাত্র ছিলাম। নন্দীগ্রামের মানুষই ওনাকে হারিয়েছেন। মানুষ যদি ভোট দিতে পারে, বুথে ছাপ্পা না হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি কোয়ারেনটাইনের নামে মানুষকে আতঙ্কিত না করতে পারেন তবে ভবানীপুরেও মোদীজীর আশীর্বাদপুষ্ট পদ্মফুলের প্রার্থী জিতবে। এক জন ১ লক্ষ মানুষকে ঘরছাড়া করেছেন। আর এই তরুণ আইনজীবী লড়াই করে তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাই এখানেও গণতন্ত্রের জয় হবে।”
আরও পড়ুন: WB Primary Education: কড়া হাইকোর্ট পর্ষদ সভাপতিকে ডাকতেই নিয়োগপত্র পেয়ে গেলেন প্রাথমিকের শিক্ষক