Matia Body Recovery: যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার যৌনকর্মীর ঝুলন্ত দেহ, আত্মহত্যা নাকি খুন? তদন্তে পুলিশ
Matia: যৌনকর্মীর ঝুলন্ত দেহের কথা নিমেষের মধ্যে চাউর হয়ে যায় এলাকায়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য যৌনকর্মীরাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।

মাটিয়া: যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার এক যৌনকর্মীর ঝুলন্ত দেহ। শুক্রবার সকাল থেকে ঘরের ভিতরে কোনও সাড়াশব্দ নেই। দরজা বন্ধ। ঘুম থেকে ওঠার সময় অনেকক্ষণ আগেই পেরিয়ে গিয়েছিল। অন্যান্য দিনে এতক্ষণে উঠে যেতেন তিনি। কিন্তু এদিন অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় সন্দেহ হয় অন্যান্য যৌনকর্মীদের। এরপর জানলা দিয়ে উঁকি মারতেই গা শিউরে ওঠে তাঁদের। দেখা যায়, ঘরের ভিতর ফ্যানের থেকে দড়ি লাগানো অবস্থায় ঝুলছে ওই যৌনকর্মীর দেহ। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের মাটিয়া থানা (Matia Police Station) এলাকায়। বছর তিরিশের ওই যৌনকর্মীর মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
যৌনকর্মীর ঝুলন্ত দেহের কথা নিমেষের মধ্যে চাউর হয়ে যায় এলাকায়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য যৌনকর্মীরাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। কী কারণে ওই যৌনকর্মীর মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। তবে ওই যৌনকর্মী আত্মহত্যা করেছেন নাকি এর পিছনে খুনের কোনও তত্ত্ব লুকিয়ে রয়েছে? তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদি আত্মহত্যা হয়ে থাকে, তবে কী কারনে ওই যৌনকর্মী গলায় দড়ি দিল, তাও তদন্ত করে দেখছে মাটিয়া থানার পুলিশ।
মাটিয়ার যে এলাকা থেকে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই এলাকাটি ঝুপড়ির মতো ছোট ছোট ঘর। সরু গলি রাস্তা। আলো-আঁধারিতে মেশানো ঘর। এমনই একটি ঘর থেকে শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তা বলেছিল সে। খাওয়া দাওয়াও করেছিল সময় মতো। গতরাতে তাঁর চালচলনে অস্বাভাবিক কিছুই মনে হয়নি তাঁদের। আর এরপরই শুক্রবার সকালে এমন মর্মান্তিক ঘটনা।
