Silver Smuggling: ৫ হাজার টাকার জন্য ট্রাইসাইকেলে এতগুলো রূপো পাচার করছিল, হাতেনাতে ধরল BSF
North 24 pargana: সূত্রের খবর, ২৩ জুলাই বিএসএফ-এর কাছে খবর আসে ইঞ্জিনচালিত ট্রাইসাইকেল ব্যবহার করে রুপো পাচার করা হতে পারে। গাড়িটি নিত্যানন্দকাটি চেকপোস্টের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

উত্তর ২৪ পরগনা: বুধবার রানাঘাট স্টেশনে পাকড়াও হয়েছিলেন এক মহিলা। তাঁর কাছ থেকে বিএসএফ-এর চেষ্টায় পাঁচটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। আর এবার উদ্ধার হল রূপো। বিএসএফ-এর দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ১৪৩ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা ১৬.৫৫০ কিলোগ্রাম রূপোর অলঙ্কার বাজেয়াপ্ত করল। যার মূল্য প্রায় ১৬.৮২ লক্ষ টাকা। ঘটনাস্থল থেকে একজন চোরাচালানকারীকেও আটক করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ২৩ জুলাই বিএসএফ-এর কাছে খবর আসে ইঞ্জিনচালিত ট্রাইসাইকেল ব্যবহার করে রুপো পাচার করা হতে পারে। গাড়িটি নিত্যানন্দকাটি চেকপোস্টের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চেকপোস্টে থাকা সমস্ত বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতা জারি করা হয়। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ কর্তব্যরত জওয়ানরা আমুদিয়া আয়রন ব্রিজের দিক থেকে একটি ইঞ্জিনযুক্ত ট্রাইসাইকেল আসতে দেখেন।
পূর্বের তথ্যের ভিত্তিতে জওয়ানরা গাড়িটি থামিয়ে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। পরিদর্শনের সময় তাঁরা ট্রাইসাইকেলের কাঠের চেসিসে একটি লুকানো গর্ত আবিষ্কার করেন। গর্তটি খোলার পর তারা বাদামী টেপে মোড়ানো ১৬টি প্যাকেট দেখতে পান। খোলার সময়, এই প্যাকেটগুলিতে রূপার অলঙ্কার পাওয়া যায়। দ্রুত পদক্ষেপ করে জওয়ানরা ঘটনাস্থলেই চোরাকারবারীকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তারালি সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।
ধৃত ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তিনি বালতি গ্রামে বসবাসকারী একজন ভারতীয় নাগরিক। তাঁকে জুলাইয়ের তিন তারিখ আম রোডের বিথারির কাছে একটি স্থানে আসতে বলেছিল। সেখানে তাঁকে কাঠের ট্রাইসাইকেলটি দেওয়া হয়েছিল, যার ভিতরে ইতিমধ্যেই ১৬টি বাদামী টেপযুক্ত প্যাকেট লুকিয়ে ছিল। অভিযুক্ত জানিয়েছে তাঁকে তারালির একটি বাড়িতে প্যাকেটগুলি পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই কাজের জন্য তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলেও জানান।
