বসিরহাট: শিক্ষক হাতেগোনা, শিকেয় উঠছে পড়াশোনা। সঙ্গে দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) খাবারের মান। যা দেওয়া হচ্ছে তাও পরিমাণে যথেষ্ট কম। এমনকী পড়ুয়াদের দিয়ে পরিষ্কার করানো হচ্ছে স্কুল। পরিষ্কার করানো হচ্ছে শৌচাগারও। আর তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকেরা। স্কুল চত্বরে চলল বিক্ষোভ। এ ছবি দেখা গিয়েছে। বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার বসিরহাট ১নং ব্লকের নিমদাঁড়িয়া-কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতিলাচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এই স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা তিন। কিন্তু, ক্লাস রয়েছে ৬টি। অভিযোগ, এত অল্প সংখ্যক শিক্ষকের দ্বারা গোটা স্কুল চালানো সম্ভব হচ্ছে না। স্কুল পরিচালনায় যে অসুবিধা হচ্ছে তা মানছেন শিক্ষকেরাও। প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ রায় বলছেন, “স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা খুবই কম। সে কারণেই আমরা সকলে হাতে হাত লাগিয়ে স্কুল পরিষ্কার রাখি। বাচ্চাদের সঙ্গে একযোগে আমরাও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকটা খেয়াল রাখি। আমরা যেহেতু তিনজন শিক্ষক রয়েছি তাই সমস্ত কাজ করতে গিয়ে আমাদের নানা অসুবিধার মুখে পড়তে হয়।”
তবে মিড ডি মিলে নিম্ন মানের খাবার দেওয়ার কথাটি কার্যত তিনি অস্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, “আমরা ঠিক খাবারই যথাসাধ্য পরিমাণে দেওয়ার চেষ্টা করি। আগামীতেও তা করব। যদিও আশ্বাস শুনতে নারাজ বিক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। অভিভাবক বেবি বিবি মণ্ডল কার্যত ক্ষোভের সুরে বলছেন, আমার বাচ্চাকে দিয়ে তো স্কুলে ঝাঁট দেওয়ায়। এসব কেন হবে? মিড ডে মিলে ঠিক মতো খাবারও দেয় না। অনেক দিনই ওরা শুধু জল দিয়ে ভাত খায়। রান্নার যে মাসি আছে তাকেও বদলাতে হবে।”