বসিরহাট: বাহানাগা ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম প্রায় সব পরিবারই পেয়ে গিয়েছেন ক্ষতিপূরণ। কারও পরিবারের কোনও ব্যক্তি মারা গিয়েছেন তো কেউ প্রতিবন্ধী হয়ে গিয়েছেন। আবার কারও চোট ছিল সামান্য। ওড়িশার বাহানাগা ট্রেন দুর্ঘটনায় এরকম প্রায় সকলকেই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন নিজের হাতে। কিন্তু তার মধ্যে ব্যতিক্রম বসিরহাটের একটি পরিবার। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রের তরফে কোনও ক্ষতিপূরণ মেলেনি বলে দাবি তাঁদের।
ফাতিমা বিবি ও আকলিমা বিবি। সম্পর্কে তাঁরা দুই বোন। পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। বেঙ্গালুরু থেকে বাড়ি ফিরছিলেন অভিশপ্ত ওই দিন। দুর্ঘটনায় এক বোন ফাতিমা বিবির মাথায় চোট লাগে। আর আর এক বোন আকলিমা বিবির চোট পেলেও, তা সামান্যই।
সরকারিভাবে ফাতিমা বিবির ৫০ হাজার টাকা এবং আকলিমা বিবির ১০ হাজার টাকা বা দু’জনেরই তিন মাসের জন্য ২ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু মাস গড়িয়ে গিয়েছে। দুই বোনই কোনও টাকা পাননি বলে দাবি তাঁদের।
আকলিমা বিবি একটু সুস্থ হয়েই ফিরে গিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। ফাতিমা বিবি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। হাসপাতালে থাকাকালীন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস দেখা করতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের কথা দিয়েছিলেন। একইভাবে নীল রতন সরকার হাসপাতালে ভর্তি শঙ্কর দাসের পরিবারকেও দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। দুই পরিবারই পরে রাজভবন থেকে ৫০ হাজার করে রাজ ভবন থেকে টাকা পেয়েছিলেন। শঙ্কর দাসের পরিবার আবার রাজ্য সরকারি ক্ষতিপূরণও পেয়েছিলেন। কিন্তু বাদ পড়েছেন শুধু ফাতিমা বিবি আর আকলিমা বিবি।
এই দুই বোন,বাড়ি ফিরে বিডিও অফিসে গিয়ে সব কাগজপত্র দেখিয়ে আবেদনও করেন। কিন্তু তাঁদের দাবি, আজও ক্ষতিপূরণ পাননি। আদৌ আর সেই ক্ষতিপূরণ পাবেন তো? সেই প্রশ্নই করছেন ফাতিমা আর আকলিমা পরিবার।
এই বিষয়ে ফতিমা বিবি বলেন, “কেন্দ্র ও রাজ্য কোনও সরকারই আমাদের ক্ষতিপূরণ দেননি। কেউ বলছে আমাদের পঞ্চাশ হাজার করে পাওয়ার কথা কেউ আবার বলছেন এক লক্ষ্য টাকা, কেউ আবার বলছেন দু’লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা ছিল আমাদের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সাহায্য পেলাম না। আমি রাজ্যপালের টাকা পেলেও আমার বোন সেইটাও পায়নি।” এ দিকে, এই খবর Tv9 বাংলায় সম্প্রচার হওয়ার পরই বসিরহাটের সংশ্লিষ্ট বিডিও ডেকে পাঠান ফতিমা বিবি ও আকলিমাকে।