উত্তর ২৪ পরগনা: করোনায় (Covid-19) কাবু উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। এরই মধ্যে নতুন করে ডেঙ্গু ডর! ক্রমাগত বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। খড়দহের পাতুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকার একই আবাসনে ৩০ থেকে ৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগে এলাকার লোকজন।
বহু আশায় কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ করে এই আবাসনে ফ্ল্যাট কিনেছেন আবাসিকরা। কিন্তু ডেঙ্গু এমন পরিস্থিতি সেখানে তৈরি করেছে, প্রাণে বাঁচতে আবাসন ছেড়ে পালানোর পরিস্থিতি হয়েছে। আবাসনের স্বচ্ছতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছেন আবাসিকরা। প্রশাসনের বিরুদ্ধেও ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। যদিও পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের দাবি, নির্মাণকারী সংস্থা কোনও সাহায্য না করাতে ডেঙ্গু বাড়ছে।
নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধেও আবাসিকদের অভিযোগ রয়েছে। আবাসিকদের অভিযোগ, “সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৪ নভেম্বরের মধ্যে যে সমস্ত জায়গায় গর্ত রয়েছে মাটি ফেলবে, সমস্ত জায়গায় তেল, মশা তাড়ানোর ধোঁয়া সমস্ত কিছু দেবে। কিন্তু নির্মাণকারী সংস্থা কিছুই করেনি।”
এক আবাসিকের কথায়, “ওরা বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য ব্লক শুরু করছে। একটা অসম্পূর্ণ রেখেই নতুন ব্লকে হাত দিচ্ছে। না নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে হাত গুটিয়ে বসে আছে। ব্লক জল জমছে। নোংরা হচ্ছে। মশাও বাড়ছে। বার বার ওদের অভিযোগ করছি। ওরা কোনও কথা কানেই তোলেনি। টাকা ছাড়া ওরা আর কিছুই বোঝে না। বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে। এমন ভয় হয়ে গিয়েছে সন্ধ্যা হলে ঘরের বাইরে যাচ্ছি না।”
ডেঙ্গুর উপসর্গ
যে কোনও রোগেরই উপসর্গ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে রোগ মোকাবিলার প্রথম ধাপটাই আপনি জেনে গেলেন। উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সময় মতো রোগ নির্ণয় করা দরকার। চোখের ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, বমি, হাড়ের ব্যথা, ফুসকুড়ি, পেশী ব্যথা, অস্বাভাবিক রক্তপাত, জয়েন্টে ব্যথা, ক্লান্তি বা অস্থিরতার মতো লক্ষণগুলি দেখা দিলে সতর্ক হোন। এগুলি ডেঙ্গুর উপসর্গ।
ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে বিপদজনক ডেন ২ ও ডেন ৩। এ রাজ্যে এই দুই সেরোটাইপেরই বাড় বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, দেখা গিয়েছে ডেন ২ সব থেকে মারাত্মক। এর পিছনেই রয়েছে ডেন ৩। মাইক্রো বায়োলজিস্টরা বলছেন, ‘ডেন ২ ডেন ৩ মারাত্মক। অথচ এবারও শোনা যাচ্ছে এই দু’টো এ রাজ্যে ভালই পাওয়া যাচ্ছে। ডেন ৩ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।’ সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর ছয় থেকে সাতদিনের মধ্যে সেরে যায়। হেমারেজিক ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেশি। ডেন ২ বা ডেন ৩ ঘটাতে পারে ডেঙ্গু হেমারেজ। এর ফলে শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।
আরও পড়ুন: Audio Clip Controversy: শাসকদলের দুই নেতার উত্তপ্ত ফোনালাপ! ‘ভাইরাল করলেন’ তৃণমূলেরই বিধায়ক
উত্তর ২৪ পরগনা: করোনায় (Covid-19) কাবু উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। এরই মধ্যে নতুন করে ডেঙ্গু ডর! ক্রমাগত বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। খড়দহের পাতুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকার একই আবাসনে ৩০ থেকে ৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগে এলাকার লোকজন।
বহু আশায় কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ করে এই আবাসনে ফ্ল্যাট কিনেছেন আবাসিকরা। কিন্তু ডেঙ্গু এমন পরিস্থিতি সেখানে তৈরি করেছে, প্রাণে বাঁচতে আবাসন ছেড়ে পালানোর পরিস্থিতি হয়েছে। আবাসনের স্বচ্ছতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছেন আবাসিকরা। প্রশাসনের বিরুদ্ধেও ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। যদিও পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের দাবি, নির্মাণকারী সংস্থা কোনও সাহায্য না করাতে ডেঙ্গু বাড়ছে।
নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধেও আবাসিকদের অভিযোগ রয়েছে। আবাসিকদের অভিযোগ, “সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৪ নভেম্বরের মধ্যে যে সমস্ত জায়গায় গর্ত রয়েছে মাটি ফেলবে, সমস্ত জায়গায় তেল, মশা তাড়ানোর ধোঁয়া সমস্ত কিছু দেবে। কিন্তু নির্মাণকারী সংস্থা কিছুই করেনি।”
এক আবাসিকের কথায়, “ওরা বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য ব্লক শুরু করছে। একটা অসম্পূর্ণ রেখেই নতুন ব্লকে হাত দিচ্ছে। না নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে হাত গুটিয়ে বসে আছে। ব্লক জল জমছে। নোংরা হচ্ছে। মশাও বাড়ছে। বার বার ওদের অভিযোগ করছি। ওরা কোনও কথা কানেই তোলেনি। টাকা ছাড়া ওরা আর কিছুই বোঝে না। বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে। এমন ভয় হয়ে গিয়েছে সন্ধ্যা হলে ঘরের বাইরে যাচ্ছি না।”
ডেঙ্গুর উপসর্গ
যে কোনও রোগেরই উপসর্গ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে রোগ মোকাবিলার প্রথম ধাপটাই আপনি জেনে গেলেন। উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সময় মতো রোগ নির্ণয় করা দরকার। চোখের ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, বমি, হাড়ের ব্যথা, ফুসকুড়ি, পেশী ব্যথা, অস্বাভাবিক রক্তপাত, জয়েন্টে ব্যথা, ক্লান্তি বা অস্থিরতার মতো লক্ষণগুলি দেখা দিলে সতর্ক হোন। এগুলি ডেঙ্গুর উপসর্গ।
ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে বিপদজনক ডেন ২ ও ডেন ৩। এ রাজ্যে এই দুই সেরোটাইপেরই বাড় বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, দেখা গিয়েছে ডেন ২ সব থেকে মারাত্মক। এর পিছনেই রয়েছে ডেন ৩। মাইক্রো বায়োলজিস্টরা বলছেন, ‘ডেন ২ ডেন ৩ মারাত্মক। অথচ এবারও শোনা যাচ্ছে এই দু’টো এ রাজ্যে ভালই পাওয়া যাচ্ছে। ডেন ৩ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।’ সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর ছয় থেকে সাতদিনের মধ্যে সেরে যায়। হেমারেজিক ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেশি। ডেন ২ বা ডেন ৩ ঘটাতে পারে ডেঙ্গু হেমারেজ। এর ফলে শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।
আরও পড়ুন: Audio Clip Controversy: শাসকদলের দুই নেতার উত্তপ্ত ফোনালাপ! ‘ভাইরাল করলেন’ তৃণমূলেরই বিধায়ক