কাজের যোগ দিতে জমা আবেদন, হাতেনাতে গ্রেফতার ৪ ভুয়ো ফার্মাসিস্ট!

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Sep 04, 2021 | 9:02 PM

Fake Pharmacist: ঘটনায় বারাসাত থানায় অভিযোগ দায়ের করে ড্রাগ কন্ট্রোল। পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। দিনভর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

কাজের যোগ দিতে জমা আবেদন, হাতেনাতে গ্রেফতার ৪ ভুয়ো ফার্মাসিস্ট!
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা:  ভুয়ো সিবিআই, ভুয়ো আইনজীবীর পর এ বার ভুয়ো ফার্মাসিস্ট! কাজ করার নামে জাল নথি জমা দিয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলের হাতে  হাতেনাতে ধরা পড়ল চার চক্রী। জানা গিয়েছে, ধৃতরা সকলেই বীরভূম ও মালদার বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে ওই চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বারাসাত থানার পুলিশ। ধৃত ৪ ভুয়ো ফার্মাসিস্ট হল, বিষ্ণু সাহা, শুভঙ্কর দাস, প্রীতম কর্মকার ও শুভজিৎ শর্মা।

সোদপুরে একটি ওষুধের দোকান রয়েছে অজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্যের। দোকানের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ তথা রিনিউয়ালের জন্য বারাসত ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরে আবেদন করেন তিনি। লাইসেন্সের কাগজপত্র পরীক্ষা করতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বিড়াল। লাইসেন্স রিনিউয়ালের জন্য মালদার এক ফার্মাসিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অজয়কৃষ্ণ। ওই ফার্মাসিস্টের সার্টিফিকেট জমা দেন। সেই নথি বারাসত যশোর রোড সংলগ্ন প্রসাদপুরের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছিল। লাইসেন্সের নথি পরীক্ষা করাতে বারাসত যান ড্রাগ কন্ট্রোলের ৪ প্রতিনিধি। জিজ্ঞাসাবাদ করাতেই গরমিল ধরা পড়ে। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা নথির সঙ্গে অভিযুক্তদের নথির মিল নেই বলেই জানায় ড্রাগ কন্ট্রোল।

ঘটনায় অজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্য বলেন, “আমি ফার্মাসিস্ট চাই বলে আবেদন করেছিলাম। সেইমতোই আমার একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু তাঁর কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি জাল নথি পেশ করেছেন। শুধু আমি নই, আমার মতো আরও দুই-তিনটি  দোকানের মালিকের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে ওই কারবারিদের গ্রেফতার করে।”

ঘটনায় বারাসাত থানায় অভিযোগ দায়ের করে ড্রাগ কন্ট্রোল। পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। দিনভর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন ড্রাগ কন্ট্রোলের জেরার পর পুলিশের তরফেও ওই চার ব্যক্তিকে জেরা করা হয়। কিন্তু, তাঁরা ফার্মেসির বিষয়ে কোনও প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ধৃতদের সঙ্গে বড়সড় চক্রের যোগ রয়েছে। এই চক্রটি নকল নথি তৈরি করে এই ধরনের ওষুধের দোকানের লাইসেন্স পাইয়ে দেয়। তবে, তদন্তকারীদের সন্দেহের আওতা থেকে বাদ যাননি ওষুধের দোকানের মালিকরাও। তাঁরা এই জাল নথির ব্যাপারে সত্যিই কিছু অনুমান করতে পারেননি নাকি বুঝেও লাইসেন্স পেতে চুপ করেছিলেন তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বারাসাত থানার এক পুলিশ অধিকর্তা।

রাজ্যে ভুয়োর তালিকা ক্রমবর্ধমান। টিকাকাণ্ডে দেবাঞ্জন দেব থেকে শুরু করে ভুয়ো সিবিআই কৌঁসুলি সনাতন রায় চৌধুরী-সহ একাধিক জাল কারবারিদের নাম সামনে এসেছে। সামনে এসেছে ভুয়ো আইসিএস ও আইএসএসের অধিকর্তাও। এ বার ভুয়ো ফার্মাসিস্ট গ্রেফতার হওয়ায় প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর উপাচার্য বড় পাগল, আর দিলীপ ঘোষ ছোট পাগল: অনুব্রত

 

 

 

Next Article