Madhyamik: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দেওয়ার আগে ‘জীবন’ শেষ! ডেঙ্গিতে মৃত্যু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর
Basirhat: কাঁদতে-কাঁদতে মেয়েটির বাবা জানালেন, আমরা গরিব মানুষ অত বুঝি না। শুধু বলব আর কোনও বাবা-মা যেন এইভাবে সন্তানহারা না হয়।
বসিরহাট: সামনের বছর মাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল মেয়েটির। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। ডেঙ্গি কেড়ে নিল ছোট্ট মেয়েটির প্রাণ।
বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া ব্লকের যদুরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসপুর শাঁড়াতলার ঘটনা। মৃত ছাত্রীর নাম নাজমিন সিদ্দিকী। বছর সতেরোর যদুরহাটি রবীন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ে এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল সে।
বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর বাবা-মা স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন।
সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অবস্থায় কোনও মতে মেয়েটির বাবা বললেন, কয়েকদিন আগে জ্বর হয়। এখানকারই এক ডাক্তারকে দেখাই। পরে অবস্থার খারাপ হওয়ায় অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু নিয়ে যাওয়ার আগেই মেয়েটা চলে গেল। আমরা অশিক্ষিত মানুষ অত বুঝি না ডাক্তার যেমন বলেছে তেমন করলাম। কিছুই কাজ হল না। শুধু চাইব আর কোনও বাবা-মা যেন সন্তান হারা না হয়।
কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগেই বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জেরে এলাকায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় নতুন করে বাদুড়িয়াতে ডেঙ্গুর আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০ মাস পর খুলেছে স্কুল। কোভিডের লড়াইয়ে বিধি মানার চ্যালেঞ্জ শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যেও। প্রথম দিন প্রায় ৭২ শতাংশ হাজিরা নিয়ে সচল নবম থেকে দ্বাদশ। যদিও শিফট ভাগ করে অর্ধেক পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাস চললেও কোভিড বিধি পালনে কার্যত এখনও হিমশিম খেতে হয়েছে বহু স্কুল কিংবা কলেজে।
হাসি হাসি মুখ নিয়ে স্কুলে পা পড়ুয়াদের, তবে কোথাও যেন লুকিয়ে অন্ধকার। কোভিডে অর্থ সঙ্কটের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে একদল কিশোর যেন লড়াই করে চলেছে অনবরত। ব্যস্ত দুহাতে ফের বই খাতা কলম ফেরানোই এখন চ্যালেঞ্জ।