উত্তর ২৪ পরগনা: ডাকাতিতে বাধা পেয়ে গৃহকর্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার রাওতারা বিশ্বাসপাড়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘরে বসেছিলেন বছর বিয়াল্লিশের নাজমুন নাহার। অভিযোগ, ঘরের ভিতরে আচমকাই ঢুকে পড়ে এক ব্যক্তি। তার হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র।
মহিলার বয়ান অনুযায়ী, “আমাকে চিত্কার করতে বারণ করেছিল। কিন্তু তার হাতে ধারাল অস্ত্র দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই। আমি চিত্কার করেই ফেলি। আমি বুঝতে পারি নি কী করা উচিত ছিল। অতর্কিতেই ওই ব্যক্তি ঘরে ঢুকে গিয়েছিল, বুঝতেই পারিনি। ” তখনই ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাজমুলের পিঠে এলোপাথাড়ি কোপ মারে ওই ব্যক্তি।
নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন নাজমুল। হাত দিয়ে ওই ব্যক্তিকে ঠেকানোর চেষ্টা করেন। তখনই ওই অস্ত্র নাজমুলের হাতে লাগে। শরীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় ক্ষত তৈরি হয় মহিলার। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাতে মারাত্মক চোট পান তিনি। ততক্ষণে চিত্কার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা চলে আসেন। তবে তার আগে ঘর থেকে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ওই ব্যক্তির মুখ ঢাকা ছিল। মুখোশ জাতীয় কিছু পরে ছিল ওই ব্যক্তি। তাই তাকে চিনতে পারেন নি তাঁরা। স্থানীয়রা দ্রুত নাজমুলকে উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিত্সকরা তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন।
পরিবারের অভিযোগ, ডাকাতির উদ্দেশেই ওই ব্যক্তি ঘরে ঢুকেছিল। দুষ্কৃতীদের এক জন ঘরে ঢুকেছিল, বাকিরা বাইরে দাঁঁড়িয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাবড়া থানার পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আক্রান্ত মহিলা কিছুটা সুস্থ হলে, তাঁরও বয়ান নেওয়া হবে।