উত্তর ২৪ পরগনা: দু’দিন ধরেই একটা গন্ধ নাকে আসছিল প্রতিবেশীদের। মঙ্গলবার সকালে থেকে সেটি প্রকট হয়ে ওঠে। গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে প্রতিবেশীরা ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি মারেন। দেখেন, খাটের ওপর পড়ে রয়েছে ছেলের শরীরটা। পাশেই মাথার কাছে বসে রয়েছেন তাঁর মা। ছেলের শরীরে যে কোনও সার ছিল না, তা বাইরে থেকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। ছেলের মৃতদেহের সঙ্গেই দু’দিন ধরে কাটাল মা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা হাবড়া জয়গাছি বেলতলা এলাকায়। মৃতের নাম সুনীল দত্ত (৬৫)।
বেলতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সুনীল তাঁর মা কমলাকে নিয়ে থাকতেন। সুনীলই বাজারহাট করতেন। ফলে তাঁকে রাস্তাঘাটে, বাড়ির বাইরে দেখতে পেতেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু দুদিন ধরে তাঁরা সেটাও দেখতে পাননি। ফলে সন্দেহ হচ্ছিল। তারপর আবার দু’দিন ধরেই এলাকায় গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা।
মঙ্গলবার থেকে গন্ধটা আরও প্রকট হওয়ায়, স্থানীয় বাসিন্দারা গন্ধের উৎস খুঁজছিলেন। তাঁরা দেখতে পান, কমলার শোওয়ার ঘরের জানালা খোলা। খাটের ওপর রয়েছে তাঁর ছেলের দেহ। পাশেই বসেছিলেন কমলা। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘরে ঢোকেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা ঘরে ঢুকে দেখেন, সুনীল দত্তের মৃত্যু হয়েছে। দেহে একপ্রকার পচন ধরেছে। গন্ধ ছড়াচ্ছে সেখান থেকেই। হাবড়া থানায় খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে ছেলের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দু’দিন আগে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ছেলের যে মৃত্যু হয়েছে, তা আদৌ বুঝতেই পারেননি বৃদ্ধা। আর সেই কারণেই এই সমস্যা। ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।