Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ‘আটক’ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন শুভেন্দু

Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে খবর করতে গিয়ে শুক্রবার দুপুরে আক্রমণের মুখে পড়ে টিভি-৯ বাংলা। আক্রান্ত হন আমাদের রিপোর্টার সৌরভ দত্ত, চিত্রসংবাদিক গৌরব পাল। হামলায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় শিবু ঘনিষ্ঠ সামাদ মোল্লা, নিশিকান্ত বরদের।

Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ‘আটক’ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন শুভেন্দু
গর্জে উঠলেন শুভেন্দু Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2024 | 3:48 PM

কলকাতা: ফুঁসছে সন্দেশখালি। কিছুতেই যেন বাগে আনা যাচ্ছে না উত্তেজনা। জারি ১৪৪ ধারা। বন্ধ ইন্টারনেট। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশে ছয়লাপ। শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একদিন আগেই স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে চিঠি লেখেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যপালেরও হস্তক্ষেপ চাইছেন শুভেন্দুরা। এদিনই রাজবভবনে গিয়ে বিক্ষোভও দেখিয়ে এসেছেন বিজেপি বিধায়করা। ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইনও দেওয়া হয়েছে। এদিকে শুক্রবার দিনভর তপ্ত ছিল জেলিয়াখালি। আটজন গ্রামবাসীকে আটকও করে পুলিশ। সূত্রের খবর, এদের মধ্যে এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও ছিলেন। পরে যদিও পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। এদিন রাজভবনে এসেও এ প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। 

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সংবিধান ধর্ষিত হচ্ছে, মহিলাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের লোকেরা। গোটা এলাকা ঘিরে ধরে ১৪ জন গ্রেফতার হয়েছেন। এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকেও মিনাখাঁ থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো উচিত।”  তবে রাজভবনে এলেও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা হয়নি শুভেন্দুর। বলেন, “রাজ্যপাল আজ ছিলেন না। উনি কেরলে আছেন। রাজ্যপালের ডেপুটি সেক্রেটারি, ওএসডি-কে বলেছি আমাদের মেসেজ কনভে করুন।”

এদিকে সন্দেশখালিতে খবর করতে গিয়ে শুক্রবার দুপুরে আক্রমণের মুখে পড়ে টিভি-৯ বাংলা। আক্রান্ত হন আমাদের রিপোর্টার সৌরভ দত্ত, চিত্রসংবাদিক গৌরব পাল। হামলায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় শিবু ঘনিষ্ঠ সামাদ মোল্লা, নিশিকান্ত বরদের। যা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে চাপানউতর চলছে। সাংবাদিক নিগ্রহের খবর সামনে আসতেই ক্ষোভে গর্জে ওঠে সন্দেশখালি। 

তবে ক্ষোভের বাতাবরণটা ছিল শুক্রবারের সকাল  থেকেই। উত্তম-শিবুদের একের পর এক পোল্ট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। হালদার ঘেরি থেকে জেলিয়াখালির দিকে যাওয়ার রাস্তায় একটি পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর পর শিবু হাজরার বসতবাড়ি সংলগ্ন আরেকটি সুবিশাল বাগানবাড়িতে থাকা পোলট্রি ফার্মেও আগুন লাগান গ্রামবাসীরা। আগুন লাগানোর পর বাগানবাড়িতে ভাঙচুরের সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এই ভাঙচুর চলাকালীন শিবু হাজরার অনুগামীরা বড় জমায়েত নিয়ে হাজির হলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে গ্রামবাসীদের কয়েকজন আহত হন। হালদারপাড়ার দু’দিক থেকে পুলিশের বাহিনী ঢুকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।