উত্তর ২৪ পরগনা: ফের মৃত্যু ডাক্তারের। তবে কীভাবে তাঁর মৃত্যু তা এখনও জানতে পারা যায়নি। বাড়ির পিছনের এক শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই চিকিৎসকের দেহ। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
মৃতের নাম নির্মল ঘোষ। তিনি হোমিওপ্যাথির ডাক্তার ছিলেন। খড়দার পানিহাটির আদর্শ নগর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একাই থাকতেন তিনি। এরপর গতকাল বাড়ির পিছনের শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় ওই চিকিৎসকের মৃতদেহ। কিন্তু তিনি আত্মহত্যা করেছেন, নাকি কেউ খুন করেছে তা এখনও সঠিক ভাবে জানা যায়নি।
চিকুৎসকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে প্রথমে এলাকাবাসী খবর দেয় পুলিশে। ঘটনাস্থানে আসে খড়দহ থানার পুলিশ। তারা পরে ওই চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “সামাজিকভাবে উনি কোনও খারাপ মানুষ ছিলেন না। চিকিৎসক মানুষ ছিলেন। কেউ ডাকলে বিপদে-আপদে সবসময় তাকে পাওয়া যেত। কোনও রকম কোনও রাজনীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন না। একা মানুষ থাকতেন। পাশেই দাদার বাড়ি। সেখানেই খেতেন কখনও-কখনও। আবার কখনও নিজে রান্না করে খেতেন। বাড়িতে যতক্ষণ থাকতেন একাই দরজা বন্ধ করে থাকতেন। আমি বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলাম সেই সময় পাড়ায় অনেক মানুষের হই-হট্টোগোলে শুনে বাইরে যাই। তখনই জানতে পারি উনি মারা গিয়েছেন।”
উল্লেখ্য, এদিকে কয়েকদিন আগেই করোনায় মৃত্যু হয় এক চিকিৎসকের। দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ফের করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের মৃত্যু হল। বালুরঘাটে কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত ওই চিকিৎসকের নাম কৌশিক ঘোষ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তাঁর বাড়ি বোলপুরে হলেও দীর্ঘদিন ধরেই বালুরঘাট থাকতেন।
জানা গিয়েছে, গত ৪ নভেম্বর করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। প্রথম অবস্থায় তিনি হোম আইসোলেশনে ছিলেন। কিন্তু গতকাল দুপুরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় তাঁর। তৎক্ষনাত ভর্তি করা হয় বালুরঘাট কোভিড হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান তিনি।