বসিরহাট: ফের এক মর্মান্তিক মৃত্যু। প্রথমে বিয়ের প্রতিশ্রুতি আর তারপর ধর্ষণ। এখানেই শেষ নয় অশ্লীল কয়েকটি ছবিও ভাইরাল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী ওই যুবতী।
ঘটনাস্থান বসিরহাট। জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর সঙ্গে এলাকারই এক যুবকের কয়েক বছর আগে পরিচয় হয়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। নির্যাতিতা মেয়েটি কলেজে পড়াশুনা করতেন।
ওই যুবতীর বাবার অভিযোগ,তার মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার গেস্ট হাউসে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে যুবক। এখানেই শেষ নয়, ওই যুবতীর একাধিক অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ভাইরাল করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
দীর্ঘদিন ধরেই নাকি মেয়েটি অভিযুক্ত যুবককে বিয়ের কথা বলে আসছিল। কিন্তু তার কথায় কোনও পাত্তাই দিত না। এদিকে, অশ্লীল ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর নানা মহলে একাধিকবার অপমানিত হয় ওই ছাত্রী। অপমানের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে অবশেষে গত সোমবার গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে।
পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতাল পরে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই মারা যায় সে। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত যুবক পলাতক।
উল্লেখ্য়, গত ১৬ নভেম্বরও এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মুর্শিদাবাদে। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) তদন্ত চলছে পুরোদমে। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলায় জেলায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। গত সোমবার প্রথম ভোট পরবর্তী হিংসায় ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রুজু করে সিবিআই। মুর্শিদাবাদের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় এই মামলা রুজু করা হয়।
গত ৯ মে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার অনন্তপুর গ্রামে কয়েক জন দুষ্কৃতীর হাতে ধর্ষিত হয় কান্দি থানার উগ্র ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এক নাবালিকা এমনই অভিযোগ ওঠে। এক বান্ধবীর সঙ্গে ওই নাবালিকা যখন সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল, তখন কয়েক জন যুবক তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই নাবালিকার বান্ধবী কোনও ক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। জানা গিয়েছে ওই নাবালিকা স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষণের অভিযোগে তিন অভিযুক্তকে পূর্বেই গ্রেফতার করেছিল জেলা পুলিশ।
নির্যাতিতার বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই কর্তারা। ওই নাবালিকার বয়ান নেওয়ার পাশাপাশি, আশেপাশের এলাকাবাসীর সঙ্গেও কথা বলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার চার সদস্যের ওই বিশেষ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ঘুরে দেখেন গোটা এলাকা।