উত্তর ২৪ পরগনা: বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু রাতে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরিবারের তরফে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ফোন করা হয়। শেষবার তখনই কথা হয়েছিল। বলেছিলেন চলে আসবেন। কিন্তু গঙ্গা থেকে উদ্ধার হল তাঁর দেহ। পানিহাটিতে গঙ্গা থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পরিচয় জানা গেল। মৃত ব্যক্তির নাম শিবনাথ দাস (৪০)।
পানিহাটি গিরিবালা ঘাটে রবিবার উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর দেওয়া হয় থানায়। খড়দহ থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। এলাকাবাসীরা প্রথমে দেহটি দেখে চিনতে পারছিলেন না। স্থানীয় বাসিন্দা নন বলেই মনে করছিলেন তাঁরা।
এদিকে, খড়দহতেই শনিবার শিবনাথের পরিবারের তরফে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ সেই সূত্র ধরে এগোতে শুরু করে। শিবনাথের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখাতেই পরিচয় মেলে। পরে পরিবারের খবর দেওয়া হলে, সদস্যরা গিয়ে দেহ শণাক্ত করেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত পরশু সকাল ১১ টা নাগাদ অফিস যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘক্ষন বাড়ি ফেরেননি। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শেষ বার ফোনে কথা হয়। তারপর থেকে বন্ধ ছিল মোবাইল ফোনটি।
পরিবারের সন্দেহ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। কী কারণে খুন তার তদন্তে খড়দহ থানার পুলিশ। পরিবারের তরফ থেকে তেমন কোনও ‘ক্লু’ দিতে পারেনি। আদৌ সেদিন শিবনাথ অফিসে গিয়েছিলেন নাকি অন্য কোথাও গিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। শিবনাথ অন্য কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যদি খুনের ঘটনাই হয়ে থাকে কেন গঙ্গাতেই দেহ ফেলে যেতে গেল আততায়ীরা, তা দেখছে পুলিশ।
পরিবারের তরফে একজন বলছেন, “ওঁর এখানে কোনও বন্ধু ছিল না। কলকাতাতেই সব বন্ধু ছিল। সংসারে টাকার চাপ ছিল। দুই ছেলে-মেয়ে। তারপর বাড়ি ভাড়া বাবদ দিতে হত ৪-৫ হাজার টাকা। সমস্যা সেখানেই।”
আরও পড়ুন: Binay Tamang on BJP: ‘গোর্খাদের মৃত্যুতেও শোকপ্রকাশ করেনি, কেবল পাহাড়ে এসে ভোট নিয়েছে বিজেপি’