উত্তর ২৪ পরগনা: খড়দায় গঙ্গা থেকে বছর চল্লিশের শিবনাথ দাসের দেহ উদ্ধারে ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। প্রথম থেকেই পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছিল খুন করা হয়েছে শিবনাথ দাসকে। ঘটনার তদন্তে নেমে এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম বিপ্লব দাস। তদন্তকারীদের দাবি. জেরায় ধৃত স্বীকার করেছেন টাকা পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত ঝামেলার জেরেই খুন করা হয়েছে শিবনাথকে। সোমবার সকালে আগরপাড়া থেকে শিবনাথের বন্ধু বিপ্লবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জেরায় বিপ্লব জানিয়েছে, ঘটনার দিন অত্যধিক মদ্যপান করায় শিবনাথকে। তারপর তাঁকে খুন করা হয়। বিপ্লবের সঙ্গে ছিল আরও দুই যুবক ছিল। খুনের পর দেহ প্রমাণ লোপাটের জন্য গঙ্গায় পুঁতে রাখার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু সেটা সফল হয়নি। বিপ্লবকে জেরা করে বাকি দুজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পানিহাটি গিরিবালা ঘাটে রবিবার উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর দেওয়া হয় থানায়। খড়দহ থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। এলাকাবাসীরা প্রথমে দেহটি দেখে চিনতে পারছিলেন না। স্থানীয় বাসিন্দা নন বলেই মনে করছিলেন তাঁরা।
এদিকে, খড়দহতেই শনিবার শিবনাথের পরিবারের তরফে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ সেই সূত্র ধরে এগোতে শুরু করে। শিবনাথের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখাতেই পরিচয় মেলে। পরে পরিবারের খবর দেওয়া হলে, সদস্যরা গিয়ে দেহ শণাক্ত করেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত পরশু সকাল ১১ টা নাগাদ অফিস যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘক্ষন বাড়ি ফেরেননি। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শেষ বার ফোনে কথা হয়। তারপর থেকে বন্ধ ছিল মোবাইল ফোনটি।
পরিবারের তরফে প্রথম থেকেই অভিযোগ করা হয়েছিল খুনের। পরিবারের তরফে একজন বলছেন, “ওঁর এখানে কোনও বন্ধু ছিল না। কলকাতাতেই সব বন্ধু ছিল। সংসারে টাকার চাপ ছিল। দুই ছেলে-মেয়ে। তারপর বাড়ি ভাড়া বাবদ দিতে হত ৪-৫ হাজার টাকা। সমস্যা সেখানেই।” শিবনাথের বাজারে ধারদেনা ছিল বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই সংক্রান্ত ঝামেলার জেরেই খুন।
আরও পড়ুন: Adhir Chowdhury on BJP: ‘ওদের ধ্বংস অনিবার্য, একদিন তুবড়ির মতো ফেটে যাবে বিজেপি’