DumDum Robbery: খাবার চাওয়ার নাম করে বাড়িতে আসত ওরা, তারপর…, দমদমে ২ মহিলার চুরির কায়দা ঘোল খাওয়াচ্ছে পুলিশকেও
Dumdum: মোবাইল-ল্যাপটপ হাতিয়ে পালানোর সময় দুই মহিলা যাযাবরকে দমদম পার্ক ভিআইপি রোড থেকে গ্রেফতার করল লেকটাউন থানার পুলিশ।
দমদম: এলাকায় চুরি হচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা ঠাউর করতে পারছিলেন না পিছনে কে বা কারা জড়িত। কখনও মোবাইল কখনও ঘরের দামি জিনিস চুরি হচ্ছিল। কিন্তু তক্কে-তক্কে ছিলেন সকলে। শেষমেশ ধরা পড়ল চোর।
মোবাইল-ল্যাপটপ হাতিয়ে পালানোর সময় দুই মহিলা যাযাবরকে দমদম পার্ক ভিআইপি রোড থেকে গ্রেফতার করল লেকটাউন থানার পুলিশ। আজ তাদের বিধাননগর আদালতে পেশ করা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক মাস ধরেই লেকটাউন থানা এলাকার বাঙুর দমদম পার্ক লেক টাউন যশোর রোডের বেশ কয়েকটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ যখন তা খতিয়ে দেখা শুরু করে তখনই চক্ষু চড়কগাছ হয় তাদের। পুলিশ কর্মীরা দেখতে পান এই ঘটনার পিছনে রয়েছে দুই মহিলার হাত। অভিনব কায়দায় তারা বাড়িতে ঢুকে চুরি করত।
এরপর লেকটাউন থানার পুলিশ ওই দুই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে। তখনই জানতে পারে খাবার চাওয়ার নাম করে বাড়িতে প্রবেশ করে তারা। গৃহকর্তা বাড়তি খাবার আনতে রান্নাঘরে গেলে সুযোগ বুঝে বাড়ির মূল্যবান সামগ্রী মোবাইল ল্যাপটপ থেকে সোনার গহনা হাতিয়ে চম্পট দেয়। ধৃত দুই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে একটি ব়্যাকেট কাজ করে এয়ারপোর্ট থেকে উল্টোডাঙার মধ্যে।
বস্তুত, কয়েকদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার গোপালপুর গ্রামের ঘটনা। গত ২৩ মে শীতলাপুজো উপলক্ষ্যে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় হাঙ্গামা ড্যান্সের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান দেখতেই এলাকার বাসিন্দারা উপস্থিত হয়েছিলেন। বস্তুত, গ্রামের দিকে হাঙ্গামা ড্যান্সের অনুষ্ঠান খুবই জনপ্রিয়। মূলত, প্যান্ডেলের মধ্যে নিয়ন আলো লাগিয়ে তারস্বরে বাজানো হয় চটুল গান। সেই গানের সঙ্গে কোমর দোলান সকলে। সেই নাচ দেখতেই জড়ো হয়েছিলেন এলাকাবাসী। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে ঘটে যায় চুরির ঘটনা।
এলাকাবাসী সূত্রে খবর, রাত্রি ২টো নাগাদ বাড়ি ফিরে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন কারোর বাড়ির দরজার তালা ভাঙা, কারোর আলমারি ভেঙে তছনছ করা রয়েছে। দুষ্কৃতীরা মোবাইল, সোনা ও রুপোর গহনা, টাকা, মূল্যবান নথি নিয়ে চম্পট দিয়েছে। এরপর কপালে হাত পড়ে যায় তাঁদের। এরপর সোজা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দাসপুর থানায়। চুরির অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।