Basirhat Mass Marriage: বসিরহাটে বিয়ে করলেন এক সঙ্গে ১৭ হিন্দু-মুসলিম যুগল
Basirhat: গণবিবাহ অনুষ্ঠান ঘিরে মানুষজনের মধ্যে উৎসাহও ছিল চোখে পড়ার মতো। একসঙ্গে অনেকগুলি বিবাহ সম্পন্ন হওয়ায় খুশি পাত্র-পাত্রী থেকে শুরু করে উদ্যোক্তারাও।
বসিরহাট: হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের বিবাহ বন্ধনের সাক্ষী থাকল বসিরহাট (Basirhat)। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক নজির গড়ল বসিরহাট ২ ব্লকের বেঁকি বাজার এলাকা। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে ১৭ দম্পতির বিবাহের সাক্ষী থাকল বসিরহাট। একই মঞ্চে বিয়ে হল হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের পাত্রপাত্রীদের। মূলত সমাজে আর্থিকভাবে দুর্ব পরিবারের বাবা-মায়েদের মুখে হাসি ফোটাল এই উদ্যোগ। এর পাশাপাশি বেশ কিছু অনাথ ছেলেমেয়েদের বিবাহের আয়োজন করা হয়। হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের পাত্র-পাত্রীদের বিবাহ একই মঞ্চে দেখল বসিরহাটবাসী। গণবিবাহ অনুষ্ঠান ঘিরে মানুষজনের মধ্যে উৎসাহও ছিল চোখে পড়ার মতো। একসঙ্গে অনেকগুলি বিবাহ সম্পন্ন হওয়ায় খুশি পাত্র-পাত্রী থেকে শুরু করে উদ্যোক্তারাও।
মঙ্গলবার দোল। আজ আবার সবেবরাতও রয়েছে। উভয় ধর্মাবলম্বী মানুষদের জন্যই আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। তার আগে সোমবার এই গণবিবাহ অনুষ্ঠানে খুশির হাওয়া এলাকায়। গণবিবাহের উদ্যোক্তা নূর আহমেদ ঔরঙ্গজেব আগা বলেন, ‘রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আইনগত প্রদ্ধতি মেনে দুঃস্থ পাত্র পাত্রীদের বেছে নেওয়া হয় এবং নবদম্পতিদের হাতে নতুন সংসার জীবনের জন্য গৃহসজ্জা ও সাংসারিক সামগ্রী উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।’
উদ্যোক্তারা বলছেন, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই তাঁদের এই উদ্যোগ। বিশেষ করে যাঁরা অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ। অতীতেও এই ধরনের গণবিবাহের আয়োজন করেছেন উদ্যোক্তারা। সোমবার যে ১৭ দম্পতির বিবাহ সম্পন্ন হয়, তাঁদের মধ্যে দুই দম্পতি হিন্দু ধর্মাবলম্বী। বাকি ১৫ দম্পতি মুসলিম দম্পতির। শুধু বসিরহাট মহকুমাই নয়, গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এমনকী বাইরের জেলা থেকেও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলে-মেয়েদের বিবাহ সম্পন্ন হয় এই মঞ্চে। এদিনের বিয়ের অনুষ্ঠানের পর খুশি পাত্র-পাত্রী থেকে শুরু করে তাঁদের বাবা-মায়েরাও। যাঁদের বিয়ে হল, তাঁদের প্রায় সকলেরই পরিবারের অবস্থা খুব খারাপ। এই বিয়ের আয়োজন হওয়ায় তাঁদের খুব উপকার হল বলেই জানাচ্ছেন পরিবারের লোকেরা।