Duttapukur Blast: দত্তপুকুরে দুর্ঘটনাস্থলে NIA, স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ঘটনার ছানবিনে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি
Duttapukur Blast: বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখলেন এনআইএ-এর দুই আধিকারিক। সেখানে তদন্তকারী এক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে তাঁরা বেরিয়ে যান।
দত্তপুকুর: নীলগঞ্জে বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছলেন এনআইএ আধিকারিকরা। বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখলেন এনআইএ-এর দুই আধিকারিক। সেখানে তদন্তকারী এক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে তাঁরা বেরিয়ে যান। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর ১.৪০ মিনিট নাগাদ এনআইএ-এর দুই আধিকারিক ঘটনাস্থলে যান। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের কথা বলতে দেখা যায়। তারপর খুব কম সময়ের মধ্যে তাঁরা প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বেশি তাঁরা দুর্ঘটনাস্থলে ছিলেন না। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, যে কোনও বিস্ফোরণের ক্ষেত্রেই একটি নিয়ম রয়েছে, NIA একটা প্রাথমিক তদন্ত করে। তথ্য সংগ্রহ করেন। কিন্তু এই ঘটনার ক্ষেত্রে এই তথ্য সংগ্রহ আরও গুরুত্বপূর্ণ।
দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। তার মধ্যে বাজি কারখানার মালিক কেরামত শেখের ছেলে রবিউল রয়েছে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের একাধিক বাসিন্দারাও মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন সুতির বাসিন্দা জেরাত আলি। তাঁর ভাই ইশা খাঁকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। নিমতিতা স্টেশনে মন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। ইশার দাদা জেরাত আলি আবার কাজ করতেন এই বাজি কারখানায়। ফলে সেই বিশেষ তথ্য সংগ্রহে আরও তৎপর এনআইএ।
তবে এখনই সরকারিভাবে এনআইএ তদন্তভার হাতে নেয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। ইতিমধ্যেই অবশ্য এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-এনআইএ দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুলেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।