Gold Smuggling: বিএসএফের চোখ এড়াতে জামার ভিতরে লোকানো ছিল সোনার বিস্কুট! শেষ রক্ষা হল না

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 28, 2021 | 5:11 PM

BSF: কোনও ভাবেই যাতে বিএসএফের নজরে না পড়েন, সে কারণেই জামার ভিতরে ওই সোনার বিস্কুটগুলি লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

Gold Smuggling: বিএসএফের চোখ এড়াতে জামার ভিতরে লোকানো ছিল সোনার বিস্কুট! শেষ রক্ষা হল না
সোনা পাচারকারীকে আটক করল বিএসএফ। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: সোনার বিস্কুট পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। তাঁর কাছ থেকে ১০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধারও করা হয়। শনিবার দক্ষিণ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (BSF) জওয়ানরা অভিযান চালিয়ে চোরাচালানের চেষ্টা ব্যর্থ করে একজনকে পাকড়াও করে।

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ নভেম্বর শনিবার এক চোরাকারবারী ১০টি সোনার বিস্কুট সহ হাতেনাতে ধরা পড়েন। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের মোট ওজন ১.২৪৩ কিলোগ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ৬১,৩৯,১৭৭ টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সোনার বিস্কুট উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সীমান্ত চৌকি হাকিমপুর এলাকা থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করা হচ্ছিল। পথেই সে পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় বিএসএফ।

শনিবার নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে সীমা চৌকি হাকিমপুরের ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নে সেক্টর কলকাতার জওয়ানরা আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। বেলা পৌনে তিনটে নাগাদ জওয়ানরা হাকিমপুর চেকপোস্টের কাছে এক সন্দেহভাজন সাইকেল আরোহীকে আসতে দেখেন। ওই ব্যক্তি হাকিমপুর থেকে ধারকান্দার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

এরপরই জওয়ানরা তাঁর পথ আটকান। পাকড়াও করে নিয়ে যাওয়া হয় সীমান্ত চৌকি হাকিমপুরে। সেখানে আধুনিক যন্ত্রপাতির (মেটাল ডিটেক্টর) সাহায্যে তল্লাশি করলে ওই আটক ব্যক্তির কাছ থেকে ১০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়।

জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম গোলাম হোসেন দালাল। ৫৬ বছর বয়স। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরেরই হাকিমপুর উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে আটক চোরাকারবারী গোলাম হোসেন দালাল জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি চোরাকারবারী হিসাবে কাজ করছেন।

মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে বাংলাদেশী চোরাকারবারী খোকা তাঁকে ১০টি সোনার বিস্কুট দিয়েছিলেন। এই বিস্কুটগুলি মোমিন নামে এক ব্যক্তিকে দেওয়ার কথা ছিল। মোমিনও স্বরূপনগরেরই বাসিন্দা। বিথারি এলাকায় থাকেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে গোলাম হোসেন দালাল জানান, এই বিস্কুট চালানের জন্য ৪০০ টাকা পেতেন তিনি।

কোনও ভাবেই যাতে বিএসএফের নজরে না পড়েন, সে কারণেই জামার ভিতরে ওই সোনার বিস্কুটগুলি লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানান। কিন্তু হাকিমপুর চেকপোস্টের কাছে ডিউটি ​​লাইন অতিক্রম করার সময় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সতর্ক জওয়ানরা তাঁকে ১০টি সোনার বিস্কুট-সহ ধরে ফেলেন। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুট-সহ অভিযুক্তকে কাস্টম অফিস তেঁতুলিয়ায় তুলে দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, ১১২ ব্যাটালিয়নের জনসংযোগ আধিকারিক জানান, এক সোনার বিস্কুট পাচারকারীকে গ্রেফতারের পাশাপাশি ১০টি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কর্তব্যরত জওয়ানদের সতর্কতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। চোরাচালান সংক্রান্ত সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য তাঁদের একটি দুর্দান্ত দল রয়েছে। ফলে সাফল্য বার বারই আসবে বলে আশাবাদী তিনি।

আরও পড়ুন: Biplab Deb: ‘ত্রিপুরাবাসী শিক্ষা দিয়েছে, বাংলাতেও প্রভাব পড়বে’, কটাক্ষ বিপ্লব দেবের

Next Article