Biplab Deb: ‘ত্রিপুরাবাসী শিক্ষা দিয়েছে,’ বাংলার শাসক দলকে কটাক্ষ বিপ্লব দেবের

Tripura Municipality Vote: ১৩ পুরসভা, ৬ নগর পঞ্চায়েতই বিজেপির দখলে। আর এই প্রেক্ষিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। বললেন, 'বারবার ত্রিপুরার মানুষকে আক্রমণ করা, আজই তারই জবাব দিয়েছে ত্রিপুরাবাসী'।

Biplab Deb: 'ত্রিপুরাবাসী শিক্ষা দিয়েছে,' বাংলার শাসক দলকে কটাক্ষ বিপ্লব দেবের
সাংবাদিক বৈঠকে বিপ্লব দেব। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2021 | 5:24 PM

ত্রিপুরা: ত্রিপুরা (Tripura) ভোটবাক্স গেরুয়াময়। আগরতলা কর্পোরেশনও হাতছাড়া হয়েছে সিপিএমের। তাছাড়া ১৩ পুরসভা, ৬ নগর পঞ্চায়েতই বিজেপির দখলে। আর এই প্রেক্ষিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। বললেন, ‘বারবার ত্রিপুরার মানুষকে আক্রমণ করা, আজই তারই জবাব দিয়েছে ত্রিপুরাবাসী’।

তিনি যোগ করেন, “ছোট রাজ্য, ছোট মানুষ করে দেখা হচ্ছিল। তাই সমস্ত ত্রিপুরাবাসীর এই জিৎ। আর যারা ত্রিপুরাবাসীকে লাগাতার অপমান করেছেন, তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়েছে ত্রিপুরা”। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে পুরভোটেও এই জয়ের প্রভাব পড়বে। তাঁর কথায়, আমরা আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি মেনে রাজনীতি করি। পশ্চিমবাংলা ভারতের জন্য একটি ঐতিহাসিক এবং নিষ্ঠার ভূমি। যে ভূমিতে বঙ্কিমচন্দ্র, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, চিত্তরঞ্জন দাশ, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, আশুতোষ মুখার্জি, বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, কার কার নাম নেব…! আমি এটাই বলতে চাইব, সেই ভূমির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজনীতি করা উচিত”।

তৃণমূলের উদ্দেশে বিপ্লব দেবের কটাক্ষ, ‘বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি যাতে পদধূলিত না হয়, সেটা দেখুক শাসক দল, নজর রাখুক তারা, যার জবাব ত্রিপুরাবাসী দিয়েছে’।

এদিকে তৃণমূলের তরফে শান্তনু রায় বলেন, “ত্রিপুরার পুরভোটই হয়নি। ভারতবর্ষে এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় নির্বাচনী প্রহসন হল ত্রিপুরার ভোট। তিনি যোগ করেন, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। যেভাবে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিপ্লব দেব তাঁর গুন্ডাবাহিনিকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত তাণ্ডব করেছে, গণতন্ত্রকে বলাৎকার করেছে, তার নিন্দার কোনও ভাষা নেই। তার পরেও তৃণমূল পুরসভা ভোটে খাতা খুলেছে এবং অধিকাংশ জায়গায় দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে। এটা প্রমাণ করেছে যে মানুষ মন তৈরি করে নিয়েছে।”

প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় আগরতলা পুরসভা, ৬ টি নগর পঞ্চায়েত, ৭ পুর পরিষদ মিলিয়ে মোট ৩৩৪ টি আসনে ভোট হয়। তার মধ্যে ৩২৯টি আসন পেয়েছে বিজেপি। ধর্মনগরে ২৫টি আসনের সব গুলিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। তাছাড়া পানিসাগরে ১২টি আসনে জিতেছে তারা। সেখানে একটি মাত্র আসন পেয়েছে সিপিএম।

এছাড়া কুমারঘাটে ১৫-র ১৫, আমবাসায় ১৫টি আসনের মধ্যে ১২টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। সেখানে তৃণমূল, সিপিএম এবং ত্রিপুরামোথা একটি করে আসন জিতেছে। এ ছাড়া তেলিয়ামুড়াতেও ১৫টি আসন, সোনামূড়া ১৩-র ১৩ আসন, অমরপুর ১৩ আসন, বিলোনিয়া ১৩ আসনের সবক’টি আসনেই বিজয়ী বিজেপি।

এদিকে ত্রিপুরা ভোটে বিজেপির জয়ে সেলিব্রেশন শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি। দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারদের দাবি, ত্রিপুরার ফলাফলের প্রভাব কলকাতার পুরভোটেও পড়বে। দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, “ত্রিপুরার সমস্ত মানুষকে আমার তরফ থেকে অভিনন্দন। তারা বিজেপিকে সমর্থন করেছে এবং যে দল ওখানে অশান্তি করছিলো তাদের সমর্থন করেনি। তৃণমূল কংগ্রেস একটা সিট পেয়েছে। মানুষ নিরাশ করেনি। ভবিষ্যতে ভাল কাজ করুক তৃণমূল কংগ্রেস।” টুইটারে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও।

আরও পড়ুন: PM Modi’s Mann Ki Baat: ‘ক্ষমতা চাই না, আমি চাই…’, মন কি বাতে কোন গোপন কথা জানালেন নমো?