Sandeshkhali: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে রাত কাটাতে হবে?’

Sukanta Mazumder: মঙ্গলবার সুকান্ত একদিকে যেমন 'নিখোঁজ' তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের শাস্তি চেয়ে সরব হয়েছেন, তেমনই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সরকারকেও। তাঁর কথায়, "ওইখানকার মহিলারা নিজেরাই বলেছেন শেখ শাহজাহান মহিলাদের তুলে নিয়ে যেত রাতের পর রাত। তাঁর সঙ্গে থাকতে বাধ্য করত।" বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ এও বলেছেন,"এই ধরনের বিকৃত যৌন মানসিকতার লোকেদের শাস্তি পাওয়া উচিত।"

Sandeshkhali: 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে রাত কাটাতে হবে?'
সন্দেশখালিতে ইস্যুতে তোপ সুকান্তরImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 14, 2024 | 9:34 AM

সন্দেশখালি: লাঠি-ঝাঁটা হাতে শ’য়ে-শ’য়ে মহিলা সন্দেশখালির রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে তাঁরা তুলেছেন শারীরিক নির্যাতনের ভয়ঙ্কর অভিযোগ। সন্দেশখালির মহিলারা মুখ খুলতেই ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে গোটা ঘটনা। শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে পথে নেমেছে বিরোধীরা, এসেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এমন আবহে মুখ খুললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বসিরহাট পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে সুকান্ত বললেন, “তৃণমূলের কাছে নারী প্রেম কী তা বোঝাই গেল…যদি তৃণমূলের থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিতে হয় তাহলে কি নেতাদের সঙ্গে রাত কাটাতে হবে?” আর সুকান্তর মন্তব্যের পরই তৈরি হয়েছে জল্পনা।

মঙ্গলবার সুকান্ত একদিকে যেমন ‘নিখোঁজ’ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের শাস্তি চেয়ে সরব হয়েছেন, তেমনই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সরকারকেও। তাঁর কথায়, “ওইখানকার মহিলারা নিজেরাই বলেছেন শেখ শাহজাহান মহিলাদের তুলে নিয়ে যেত রাতের পর রাত। তাঁর সঙ্গে থাকতে বাধ্য করত।” বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ এও বলেছেন,”এই ধরনের বিকৃত যৌন মানসিকতার লোকেদের শাস্তি পাওয়া উচিত।”

এরপর সুকান্ত কড়া ভাষায় বিদ্ধ করে রাজ্য সরকারকে। মহিলা ভোট ব্যাঙ্ককে কুক্ষিগত করতে তৃণমূলের রাজনীতির নিন্দাও করেন তিনি। নাম না করেই সুকান্ত বলেন, “সন্দেশখালি এমন একটা জায়গা যা তৃণমূলের মহিলা প্রেম, নারী প্রেম বের করে দিয়েছে। মানুষজন অবাক হয়ে দেখছেন।” তিনি আরও বলেন, তৃণমূল সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে একহাজার টাকা দিচ্ছে তো ঠিকই। কিন্তু নারী সুরক্ষা কি নিশ্চিত করতে পারছে? এরপরই তাঁর প্রশ্ন, “যদি তৃণমূলের থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিতে হয় তাহলে কি নেতাদের সঙ্গে রাত কাটাতে হবে?”

গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে এখনও শান্ত হয়নি সন্দেশখালি। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। প্রতিদিনই প্রায় মুখ খুলছেন মহিলারা। কেউ অভিযোগ করছেন, “শুধু শেখ শাহজাহানই নয়, লাল্টু বোস, উপপ্রধান পিন্টু বোস, আমির গাজি, রঞ্জু– এরকম কিছু লোক রয়েছে। শিবু হাঁসদা, উত্তম সর্দার সব মিলে আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়েই দিয়েছে। বাইরে থেকে লোক ঢোকায়।” কেউ আবার বলেছেন, ““আমাদের ছোটো ছোটো বাচ্চাগুলোর স্কুল যাওয়া বন্ধ করিয়ে জোর করে রাজনীতিতে নামিয়েছে ওরা। বাড়ির মেয়েদের কোনও সম্মান দেয়নি। মেয়েদের শেষ করে ফেলেছে। রাত সাড়ে দশটার সময়ে মেয়েদেরকে উঠয়ে আনত পার্টি অফিসে। আজ আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে।”

যদিও, অভিযোগ উড়িয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “বিজেপি অপরাধের রাজনীতি করছে। সুকান্ত মজুমদার আর শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে।” তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “সন্দেশ খালির ঘটনা বিকৃত, অতিরঞ্জিত। ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। সরকারের বিরুদ্ধে নয়।”