উত্তর ২৪ পরগনা: খেলা হবে দিবসে (Khela Hobe Diwas) খেলতে নেমে মাঠেই মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ক্ষিতীশ রঞ্জন সরকারের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্থিক অনুদানের দাবি পরিবারের। সোমবার ফুটবল খেলতে গিয়ে মাঠেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর।
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, সোমবার পৌরসভার মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়েছিলেন ক্ষিতীশ। খেলা হবে দিবসের জন্য মাঠে প্য়ান্ডেল তৈরি থেকে শুরু করে নানা কাজে সারাদিন ধরে পরিশ্রম করেন তিনি। বিকেলে খেলতে নামেন মাঠে। খেলা চলাকালীন দ্বিতীয়ার্ধে আচমকা বুকে হাত দিয়ে বসে পড়েন ক্ষিতীশ। পরমুহূর্তেই ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন প্রচুর পরিশ্রম করায় খানিকটা কাহিল ছিলেন ক্ষিতীশ। তারপরে খেলাধুলো করতে নামায় আর ধকল নিতে পারেনি ক্ষিতীশের শরীর। হার্ট দুর্বল থাকায় ঘটনাস্থলেই হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
ক্ষিতীশের আচমকা মৃত্য়ুতে শোকাহত পরিবার। তাঁর তিন ছেলে। দুঃস্থ পরিবারে ক্ষিতীশই ছিলেন একমাত্র উপার্জনশীল। তাঁর মৃত্য়ুতে রীতিমতো পথে বসতে চলেছে গোটা পরিবার। বড় ছেলের দাবি, মুখ্য়মন্ত্রীর নির্দেশমতো খেলা হবে দিবস (Khela Hobe Diwas) পালন করতেই ক্ষিতীশ মাঠে নেমেছিলেন। সারাদিন প্রচুর পরিশ্রমও করেন। আচমকা যে হৃদযন্ত্র বিকল হবে তা ভাবতে পারেননি কেউ। ক্ষিতীশের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্থিক অনুদানের দাবি করেছে পরিবার। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, ক্ষিতীশ তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। দলের নানা কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। ক্ষিতীশের পরিবারের জন্য শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, ‘খেলা হবে’, একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়ে বারবার এই শব্দবন্ধ দিয়ে বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বাংলায় মোদী-শাহের বিজয়রথ আটকে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় তৃণমূল। সেই স্লোগানকেই দিবস হিসাবে পালন করবে রাজ্য এমনটাই জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। স্লোগানকে সামনে রেখে নতুন প্রকল্প আনার কথাও জানিয়েছে মমতা সরকার। যেখানে ফুটবলকে বাংলার ঘরে-ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ভোটের প্রচারে বিভিন্ন সভাতেই মমতার বক্তব্যের শেষে তাঁর হাতে থাকত ফুটবল। সেটাই সামনের কাউকে লুফতে বলে দিতেন তিনি। ভোটের পর ফুটবলের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে খেলা হবে নামে একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়। গত ১৬ অগস্ট সোমবার রাজ্য প্রথম খেলা হবে দিবস পালিত হয়। আরও পড়ুন: অজন্তার কলমে ‘খাঁড়া’! ৩ মাসের জন্য অনিল-কন্যাকে সাসপেন্ড করল সিপিএম