উত্তর ২৪ পরগনা: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বাড়ি ভাঙার চেষ্টার অভিযোগ কাউন্সিলর ও পানিহাটি পৌরসভার বিরুদ্ধে। আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা। পানিহাটি পৌরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ড ঘোলা সি ব্লক অঞ্চলে অরুণ সরকার নামে এক ব্যক্তি থাকেন। অভিযোগ, অরুণ ভাই স্বপন সরকার ও তাঁর পরিবারকে সম্পত্তি না দিয়ে বাড়ি থেকে উৎখাত করার চেষ্টা করছেন। ভাইয়ের অভিযোগ, গোটা সম্পত্তি প্রমোটিংয়ের জন্য চক্রান্ত করছেন অরুণ সরকার। তিনি স্থানীয় ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুনু চন্দের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ, কাউন্সিলরও এই বিষয়ে কোনওরকম সাহায্য করেননি। উল্টে স্বপন সরকারের পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় কাউন্সিলরকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। এরইমধ্যে অভিযোগ,স্বপন সরকারকে বাড়ি ভাঙ্গার নোটিস দেয় পানিহাটি পৌরসভা। পৌরসভার নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন স্বপন সরকার ও তাংর মেয়ে সঙ্গীতা। বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট।
অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ নির্দেশ অমান্য করে পৌরসভার তরফ থেকে বাড়ি ভাঙার নির্দেশ জারি করা হয়। পৌরসভার কর্মীরা গিয়ে স্বপন সরকারের পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে স্বপন সরকার তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
অভিযোগকারীর বক্তব্য, “আমাদের বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। আমার ভাসুর সবসময় বলছিলেন, এই বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট হবে, আমরা সেটা চায়নি। এই ঘরটা আমরা বানিয়েছিলাম, এখন বলছে সেটা বেআইনি। হাইকোর্ট বাড়ি না ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপরও পুরসভা থেকে লোক আসছে বাড়ি ভাঙার জন্য।”
এই বিষয়ে পানিহাটি পৌরসভার পুর পারিষদ সদস্য (PWD) সোমনাথ দে বলেন, “বাড়ির সম্পত্তিগত বিবাদ দুই ভাইয়ের মধ্যে চলছিল। এক ভাই স্বপন সরকার তাঁর বাড়ির একটা অংশে নতুন ঘর করেন। সেই ঘরের অবজেকশন পানিহাটি পৌরসভাকে জানান অন্য ভাই অরুণ সরকার। সেইমতো পানিহাটি পৌরসভার তরফ থেকে স্বপন সরকার ও তাঁর পরিবারকে হেয়ারিং-এর জন্য ডাকা হয়। পৌরসভায় সেই আলোচনা হত। কিন্তু তাঁরা আসেননি। তাই পৌরসভার তরফ থেকে বাড়ি ভাঙার নোটিস জারি করা হয়। হাইকোর্ট বাড়ি ভাঙার যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে, সেটা পৌরসভার কাছে আসেনি।” হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের চিঠি পৌরসভা কাছে আসলে অবশ্যই পৌরসভার তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।