সন্দেশখালি: বাংলাদেশে আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। গ্রেফতার করা হয়েছে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। এই নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে বিজেপির জনসভা থেকে তিনি অভিযোগ করলেন, বাংলাদেশে জোর করে ধর্মান্তরণ করা হচ্ছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তিনদিন পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। তারপর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর হামলার অভিযোগ উঠতে শুরু করে। বাড়ি-দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বাংলাদেশের স্কুল, কলেজেরও অনেক শিক্ষক পদত্যাগ করেন। তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ।
বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর হামলা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব শুভেন্দু। এদিন সন্দেশখালি থেকে ফের বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন তিনি। জনগণের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “আত্মীয় স্বজন রয়েছে বাংলাদেশে? হিন্দুদের বাড়িঘর অক্ষত রয়েছে সেখানে?”
এরপরই বাংলাদেশে ধর্মান্তরণের কথা তুলে শুভেন্দু বলেন, “চাকরি বাঁচাতে বাংলাদেশে রতন মজুমদার ধর্ম পরিবর্তন করে শেখ সফিউল্লা হয়েছেন। তাঁকে বলেছিল, চাকরি ছাড়ো, না হলে ধর্ম ছাড়ো। উনি চাকরি ছাড়তে পারেননি। ধর্ম ছেড়েছেন।”
এপারেও এক থাকতে হবে বলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দিলেন শুভেন্দু। জনগণের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “এক থাকবেন তো? হিন্দুদের বাঁচার লড়াই নয়। অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই।”