Sagar Dutta Medical College: ‘মানসিক সমস্যা রয়েছে ডাক্তারবাবুর’, রোগী মৃত্যুর পর মানলেন খোদ সাগরদত্তের MSVP
Sagar Dutta Medical College: পরিবারের দাবি, সকাল ৭.৪৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ডাক্তারদের গাফিলতিতেই এমার্জেন্সিতে দীর্ঘক্ষণ রোগীকে ফেলে রাখা হয়। রোগীর পরিবারের দাবি, রোগীর জ্বর ছিল, সঙ্গে হাই সুগার এবং হৃদরোগেরও সমস্যা ছিল।
উত্তর ২৪ পরগনা: জরুরি বিভাগের নাইট ডিউটিতে কর্মরত এক চিকিৎসক। পরিবারের কথায়, তিনি রিপোর্টই ঠিক করে পড়তে পাচ্ছেন না। হাত কাঁপছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, চিকিৎসক মদ্যপ ছিলেন। কিন্তু এমএসভিপি যা বললেন, তা আরও চাঞ্চল্যকর। জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকের নাকি মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাহলে এরকম চিকিৎসক কীভাবে একটা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত থাকতে পারেন? ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতালের সামনে নামানো হয়েছে RAF।
জানা গিয়েছে, মৃত রোগীর নাম প্রশান্ত কুমার সাউ (৪৯)। তিনি টিটাগড়ের একটি জুটমিলে কাজ করতেন। বর্তমানে টিটাগড়েই হোটেল ব্যবসা করেন। প্রশান্ত টিটাগড়ের তালপুকুর এক নম্বর লাইনের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে বারাকপুর বি এন বোস মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে সেই হাসপাতাল থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। পরিবার সকালে সাগরদত্তে নিয়ে আসে।
পরিবারের দাবি, সকাল ৭.৪৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ডাক্তারদের গাফিলতিতেই এমার্জেন্সিতে দীর্ঘক্ষণ রোগীকে ফেলে রাখা হয়। রোগীর পরিবারের দাবি, রোগীর জ্বর ছিল, সঙ্গে হাই সুগার এবং হৃদরোগেরও সমস্যা ছিল। বি এন বোস হাসপাতালে এক বোতল রক্ত দেওয়া হয়।
তারপরে এদিন সকালে সাগরদত্তে আনা হয়। হাসপাতালে এমএসভিপি সুজয় মিস্ত্রি বলেন, “ডাক্তার সোমবার রাতেই এই হাসপাতালে কাজের সঙ্গে যুক্ত হন। সোমবারই প্রথম সাগর দত্তের কাজে আসেন, নাইট ডিউটি ছিল।”
এমএসভিপি জানান, ” কর্তব্যরত ডাক্তার উত্তম কানরি বীরভূমের বাসিন্দা। তাঁকে নৈহাটি হাসপাতাল থেকে সাগর দত্তের পাঠানো হয়। এমএসভিপি বলেন, “ওঁ সাইক্রিয়াটিক পেশেন্ট। তাঁকে আমাদের হাসপাতালের সাইক্রিয়াটিস্ট ডাক্তার দেখানো হচ্ছে। তাঁর চেকআপ করা হচ্ছে। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে এই অভিযুক্ত ডাক্তারকে সাগরদত্তের বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়।” এমএসভিপি বলেন, “আমি অন ডিউটি ডাক্তারবাবুকে আর রোগীর বাড়ির লোককে সামনাসামনি বসিয়ে কথা বলিয়েছি। ডাক্তারবাবু বলেছেন, তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল। ওঁ সম্ভবত অসুস্থ। এটা সাইক্রিয়াটিক প্রবলেম। আদৌ তিনি মদ্যপান করেছিলেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখব। একটা মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করে দেখে নেব।”
প্রশ্ন উঠছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে, এই ধরনের অসুস্থ মানুষকে কী করে একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হল?