Sandeshkhali: সন্দেশখালি যাবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল, তার আগে ‘গ্রাউন্ড রিয়েলিটি’ চেক করবেন দুই নেতা
TMC: সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ১৪৪ ধারা উঠে গেলে আগামী রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্দেশখালিতে যেতে পারে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তার আগে মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামিকাল সন্দেশখালির বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দুই বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ও নারায়ণ গোস্বামী।
কলকাতা: সন্দেশখালির পরিস্থিতি গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে এগিয়েছে, তাতে শিউরে উঠেছে রাজ্য। শেখ শাহজাহান এখনও অধরা। আর এদিকে সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছে। এসবের মধ্যেই এবার সন্দেশখালি যাওয়ার তোড়জোড় নিচ্ছে তৃণমূল শিবির। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ১৪৪ ধারা উঠে গেলে আগামী রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্দেশখালিতে যেতে পারে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তার আগে মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামিকাল সন্দেশখালির বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দুই বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ও নারায়ণ গোস্বামী।
প্রসঙ্গত, আজই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পৌঁছে গিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে। সেখানে স্থানীয় মহিলাদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনেছেন তিনি। খতিয়ে দেখেছেন বাস্তব পরিস্থিতি। বোসকে নাগালের মধ্যে পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন সন্দেশখালির মহিলারা। হাত জোড় করে, কাঁদতে কাঁদতে, পা ধরে কাতর আর্তি জানান রাজ্যপালের কাছে। সবার মুখে একটাই কথা, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হোক, নাহলে তাঁরা টিকতে পারবেন না। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, আজ সন্দেশখালি যাওয়ার পথে মিনাখাঁয় রাজ্যপালের কনভয়ের সামনে একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান একদল লোকজন।
এদিকে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল বোসের সন্দেশখালি যাওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মমতা বলেন, ‘যেতেই পারেন। আমাদেরও রাজ্য মহিলা কমিশনকে সকালে পাঠিয়েছিলাম। ওরা ঘুরে এসেছে এবং রিপোর্ট দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন, অলরেডি তো গ্রেফতার হয়ে গিয়েছে। ওখানে যতদূর সম্ভব, যাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বা যারা অশান্তি পাকিয়েছে সবাইকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।’