Sandeshkhali: ‘ধর্ষণ করে কি মেডিক্যাল রিপোর্ট ধরিয়ে দিত গুছিয়ে রাখার জন্য!’ ফুঁসছেন সন্দেশখালির মহিলারা
Sandeshkhali: সোমবার এলাকায় রাজ্য মহিলা কমিশনের টিম ঘুরে যাওয়ার পর যে কথা বলা হচ্ছে, সে নিয়ে এবার পাল্টা মুখ খুললেন গ্রামের মহিলারা। এক মহিলা বললেন, 'ওনারা এদিকে আসেননি। যদি আসতেন, তাহলে ওনাকে আমরা ঠিক উত্তরটা পাইয়ে দিতাম।'
সন্দেশখালি: পুলিশ বলছে, ধর্ষণের কোনও অভিযোগ নেই। রাজ্য মহিলা কমিশনও সন্দেশখালি ঘুরে বলছে, শ্লীলতাহানি সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ নেই। এবার পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিলেন সন্দেশখালির মহিলারাই। ভয় এখনও রয়েছে তাঁদের মনে। তারপরও শাড়ি দিয়ে মুখ ঢেকে নিজেদের অভিযোগের কথা শোনাচ্ছেন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে। রাজ্য মহিলা কমিশনের বক্তব্যের চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবার মুখ খুলেছেন গ্রামের মহিলারা।
সোমবার এলাকায় রাজ্য মহিলা কমিশনের টিম ঘুরে যাওয়ার পর যে কথা বলা হচ্ছে, সে নিয়ে এবার পাল্টা মুখ খুললেন গ্রামের মহিলারা। এক মহিলা বললেন, ‘ওনারা এদিকে আসেননি। যদি আসতেন, তাহলে ওনাকে আমরা ঠিক উত্তরটা পাইয়ে দিতাম। একটা মেয়েকে ধর্ষণ করে কি তারা (অভিযুক্তরা) মেডিক্যাল রিপোর্টটা ধরিয়ে দিত? ওরা কি বলে দিত যে, তোমাকে আমরা ধর্ষণ করেছি, এটা আধার কার্ডের মতো গুছিয়ে রাখো, পরবর্তীকালে এটা প্রমাণপত্র হিসেবে পেশ করতে হবে! ঠিক উত্তরটা দিতে দিতাম। কিন্তু ওনারা তো আমাদের কাছে আসেননি, তাই উত্তরটা দিতে পারিনি।’
উল্লেখ্য, গতকাল রাজ্য মহিলা কমিশনের টিম ঘুরে যাওয়ার পর আজ সন্দেশখালিতে গিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলও। তাঁরা গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। এলাকার মহিলারা নিজেদের অভিযোগের কথা জানান। জাতীয় মহিলা কমিশনের উপরই আপাতত তাঁরা আস্থা রাখছেন, সেকথাও জানালেন গ্রামের মহিলারা। মহিলাদের দাবি, তাঁরা জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এদিকে রাজ্যের মহিলা পুলিশেরও একটি উচ্চপর্যায়ের দল সন্দেশখালিতে ঘুরছে। গতকালের ঘটনার পর মহিলা পুলিশের উপরেও কোনও আস্থা রাখতে পারছেন না গ্রামের মহিলারা।