Sandeshkhali: শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি কি সময়ের অপেক্ষা?
Sheikh Sahajahan: চারিদিক থেকে শাহজাহান শেখকে ঘিরতে শুরু করে দেওয়া হয়েছে। ইডি চাপ বাড়াচ্ছে। পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ থেকেও গ্রেফতারি নিয়ে গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও আবার নতুন করে ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছেন রাজ্যকে।
কলকাতা: শাহজাহান শেখের গ্রেফতারি কি এবার শুধুই সময়ের অপেক্ষা? চারিদিক থেকে যে ধরনের আবহ তৈরি হচ্ছে, তাতে সেদিকেই ইঙ্গিত যাচ্ছে। কারণও আছে যথেষ্ট। চারিদিক থেকে শাহজাহান শেখকে ঘিরতে শুরু করে দেওয়া হয়েছে। ইডি চাপ বাড়াচ্ছে। পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ থেকেও গ্রেফতারি নিয়ে গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও আবার নতুন করে ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছেন রাজ্যকে। গত পরশুই রাজভবন থেকে রাজ্যকে বলা হয়েছে, শাহজাহানকে গ্রেফতার করা না গেলে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারণ জানিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। এছাড়া বিরোধী শিবিরের অবিরাম খোঁচা তো রয়েছেই। এমন অবস্থায় শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অস্বস্তি আরও বাড়ছে পুলিশ-প্রশাসনের।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত ৫ জানুয়ারি। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল ইডির টিম। সেদিনের থেকেই বেপাত্তা শেখ শাহজাহান। ইডির তরফে একাধিকবার তলব করা হয়েছে তাঁকে। প্রত্যেকবারই হাজিরা এড়িয়েছেন। বিশেষ ইডি আদালতে আগাম জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন শাহজাহান। সেই আর্জিও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এদিকে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও বলে দিয়েছে, শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। হাইকোর্টের তরফে এ কথা জানানোর পরপরই তৃণমূল কুণাল ঘোষও বলে দিয়েছিলেন, সাত দিনের মধ্যে গ্রেফতার হবেন শেখ শাহজাহান।
প্রথমবার যখন ইডির টিম সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল, তখন একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেছিল ইডি। সেখানে ইডি দাবি করেছিল, যখন একদল উন্মত্ত জনতা ইডির উপর হামলা করেছিল, তখন শাহজাহানের মোবাইলের লোকেশন দেখাচ্ছিল বাড়ির ভিতরেই।