Sandeshkhali: ‘জাহান তো এখানে সাংসদ হয়েছে আলাদাই কারণে, এখন হাত নেমে গিয়েছে’, নুসরতকে নিয়ে বিস্ফোরক সন্দেশখালি
Sandeshkhali: সাংসদ গ্রামে শেষ কবে এসেছেন, স্মৃতি হাতড়েও মনে করতে পারছেন না গ্রামের মহিলারা। গ্রামের আরেক মহিলা বলেন, "সাংসদকে আমাদের সমস্যার কথা বলতে গেলে শোনেন না তো! অনেক দিন আগে এসেছেন। দু-তিন বছরেরও বেশি আগে এসেছিলেন।"
সন্দেশখালি: ফুঁসছে সন্দেশখালি। প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা বিস্ফোরক সব অভিযোগ করছেন। রাতবিরেতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিগ্রহেরও অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে সেখানকারই সাংসদ, একজন মহিলা, তিনি কোথায়? কোথায় বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান? সেখানকার মানুষরা এবার সাংসদের বিরুদ্ধেই মুখ খুলছেন। অভিযোগ করছেন, এত সবের পরও নুসরত জাহানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর ফোন সুইচ অফ।
গ্রামের এক মহিলা বলেন, “নুসরত জাহানকে তো ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। আমরা তো অন্য পার্টি করি না। আমরা টিএমসি পার্টিই করি। ভোট দিই টিএমসি-কে। না দিলে তো হবে না। আমরা না দিলেও ভোট পড়ে যায়।”
সাংসদ গ্রামে শেষ কবে এসেছেন, স্মৃতি হাতড়েও মনে করতে পারছেন না গ্রামের মহিলারা। গ্রামের আরেক মহিলা বলেন, “সাংসদকে আমাদের সমস্যার কথা বলতে গেলে শোনেন না তো! অনেক দিন আগে এসেছেন। দু-তিন বছরেরও বেশি আগে এসেছিলেন।” আরেক মহিলা বলেন, “আমাদের গ্রামের এক দাদার স্ত্রী ফোন করেছিলেন নুসরত জাহানকে। বারবার ফোন করেছেন। কিন্তু ফোনে যাগোযাগই করা যায়নি। অথচ যখনই মিটিং মিছিল হয়, এসে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়।বলে যান, সমস্যায় পড়লে আমাকে জানাবেন, কিন্তু এখন আর তিনি কোথায়? হাত তুলে বলে যায়, কিন্তু এখন হাত নীচে নেমে গিয়েছে।”
গর্জে উঠলেন আরেক মহিলা। তিনি বললেন, “জাহান তো আর মানুষের সেবা করবেন হলে সাংসদ হননি, ওঁ হয়েছেন, নিজের ওয়েটটা বাড়াবেন বলে।”
সন্দেশখালি ফুঁসছে, তা কম দিন হল না। কিন্তু পর্যন্ত সেখানে সাংসদের দেখাই মেলেনি। দেখা তো দূরের কথা প্রকাশ্যে এসে তিনি এই নিয়ে কোনও মন্তব্যও করেননি। কেবল অডিয়ো বার্তায় নুসরত বলেছেন, “আমি আগুনে ঘি ঢালব না। আমি সংসদের কাজে দিল্লিতে ছিলাম। কিছুদিন আগে ফিরেছি। দিল্লি থেকে ফিরে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তবে প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি। প্রশাসনকে সব রকমভাবে সাহায্য করছি।”