Sheikh Shajahan: কার চাপ? CID-র গুঁতো খেতেই ঢোক গিলে যা বললেন শেখ শাহজাহান…
Sheikh Shajahan: জেরায় শাহজাহান স্বীকার করেছিলেন, ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকরা যখন তাঁর বাড়িতে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে অভিযান চালিয়েছিলেন, তখন তিনি ভয় পেয়ে যান। তিনি গ্রেফতারির আশঙ্কা করেছিলেন।
সন্দেশখালি: এক রাত সবে পেরলো। সিআইডি হেফাজতে গিয়েই ভোলবদল শেখ শাহজাহানের। কিন্তু কার চাপে? তার নিয়েই সংশয়। সূত্রের খবর, সিআইডি আধিকারিকদের জেরায় শেখ শাহজাহান জানিয়েছেন, ইডি-র ওপর হামলার ঘটনায় আমার কোনও যোগ নেই। কাউকে ডেকে বা ফোন করে আমি কোনও হামলার নির্দেশ দিইনি। বৃহস্পতিবারই পুলিশের হাত থেকে মামলাটি সিআইডি নিজের হাতে নেয়। বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চলে শেখ শাহজাহানকে জেরা। আইজি সিআইডি ওয়ান রাজেশ যাদবের নেতৃত্বে গঠিত বিশেষ দল জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর আগে জেলা পুলিশ বসিরহাট আদালতে যে মর্মে বয়ান পেশ করেছিল, শেখ শাহজাহান ১৬১ এ ইডি-র ওপর হামলার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছিলেন।
পুলিশের বক্তব্য, জেরায় শাহজাহান স্বীকার করেছিলেন, ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকরা যখন তাঁর বাড়িতে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে অভিযান চালিয়েছিলেন, তখন তিনি ভয় পেয়ে যান। তিনি গ্রেফতারির আশঙ্কা করেছিলেন। তারপরই অনুগামীদের ফোন করেন। যে কোনওভাবে ইডি আধিকারিকদের বাড়িতে ঢোকা থেকে বিরত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর তা থেকেই হামলা। শুধু তাই নয়, ইডি আধিকারিকদের জিনিস লুঠেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কিন্তু সিআইডি জেরা করতেই ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে যান শেখ শাহজাহান। তিনি দাবি করেছেন, ইডি-র ওপর হামলার ঘটনায় তাঁর সঙ্গে কোনও যোগ নেই। কিন্তু কেন রাতারাতি এই ভোলবদল? কার চাপেই বা ভোলবদল? সেক্ষেত্রে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, শাহজাহান তাঁর আইনজীবীর পরামর্শ মতোই তিনি তাঁর বয়ান বদলেছেন। কারণ এর আগে আগাম জামিন মামলায় আইনজীবীরা এই পয়েন্টের ওপরই জোর দিয়েছিলেন যে, শেখ শাহজাহান কাউকে হামলার নির্দেশ দেননি। এলাকার লোক তাঁকে ভালোবাসেন। ইডি-র অভিযানে তাঁরাই ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে আইনজীবীদের পরামর্শ মতোই বয়ান বদলেছেন।
তবে সিআইডি এখন শেখ শাহজাহানের ওই দিনের কল রেকর্ডস চেক করবে, তাহলেই বোঝা যাবে, শেখ শাহজাহান কাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন?